টেস অভ দা ডারবারভিলস টমাস হার্ডির অন্যতম সেরা উপন্যাস। টেস নামক এক সরল পল্লিবালার করুণ পরিণতির কাহিনি লেখক মমত্বের সাথে বর্ণনা করেছেন। ঘটনাচক্রে টেসের দরিদ্র পিতা জানতে পারে যে সে প্রাচীন ডারবারভিল বংশের উত্তরপুরুষ। এই তথ্যের উপর ভিত্তি করে সে ও তার স্ত্রী টেসকে জনৈক আলেক ডারবারভিলের মা’র অধীনে কাজ করতে পাঠায়। লম্পট আলেক ডারবারভিলের পাল্লায় পড়ে টেস সন্তানসম্ভবা হয়। ফলে তার জীবনে বিপর্যয় নেমে আসে। সন্তানটির মৃত্যুর বেশ কিছু কাল পর এঞ্জেল ক্লেয়ার নামক এক যুবকের সাথে তার বিয়ে হয়। কিন্তু টেসের অতীতের কথা জানতে পেরে এঞ্জেল তাকে ফেলে দূরে চলে যায়। ভাগ্যবিড়ম্বিতা টেস পুনরায় আলেকের খপ্পরে পড়ে। অন্য দিকে নিজের ভুল বুঝতে পেরে একদিন এঞ্জেল টেসকে গ্রহণ করতে চায়। ঝোঁকের মাথায় টেস আলেককে হত্যা করে এঞ্জেলের সাথে পুনর্মিলিত হয় বটে কিন্তু আইনের চোখে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় তার মৃত্যুদণ্ড হয়। প্রকৃতপক্ষে টমাস হার্ডি এই গ্রন্থে দেখাতে চেয়েছেন যে পৃথিবীতে এমন অনেক ঘটনা ঘটে যায় যার উপর মানুষের কোনাে নিয়ন্ত্রণ নেই। সামান্য ভুলের জন্য মানুষকে অনেক বেশি কষ্ট পেতে হয়। বহু ক্ষেত্রে মানুষ জীবদ্দশাতেই লঘু পাপে গুরুদণ্ড ভােগ করে।