ইস্তানবুল যেন একটি জাদুর শহর! ইতিহাসের পাতার ভাঁজে ভাঁজে যেমন রয়েছে এই শহরের মূর্ছনা, আবার ঠিক তেমনি শহরের আখ্যানগুলোও যেন বিস্মৃতির অতলে তলিয়েযেতে খুব একটা সময় নেয় না। বয়ে চলা কালের অবিচল স্রোতধারা জন্ম দেয় ইতিহাস আর ভালোবাসার গল্প।
১৫৪০ সালে এই শহরে আসে ছোট্ট জাহান। সুলতানের রাজকীয় চিড়িয়াখানায় কাজ করার সাথে সাথে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে বুদ্ধিমান হাতি ছোটার। একইসাথে ভালোবেসে ফেলে অপূর্ব সুন্দরী শাহজাদী মেহরিমাকে। তবে গল্পটা এখানেই শেষ নয়।
অটোমান সাম্রাজ্যের শ্রেষ্ঠ স্থাপত্যবিদ মিমার সিনানের গল্পও এটা। ইস্তানবুল শহরের অনিন্দ্যসুন্দর ইমারতগুলোর পেছনে এই মহান গুরুর অবদান অনস্বীকার্য। সিনানের শিষ্যত্ব গ্রহণ করে জাহান। গড়ে তোলে নিজের এক আপন দুনিয়া। তবে শেষ পর্যন্ত কি আপন সুখের দেখা পায় সে? সিনানের প্রত্যাশার দাবী মেটাতে পারে জাহান? ভালোবাসার মূল্য খুব বেশি চুকিয়ে দিতে হলো নাকি বেচারাকে? এদিকে ইতিহাস জয় করা দুটো মসজিদের স্থাপত্যকাজ গড়ে ওঠে গুরু-শিষ্যের হাত ধরে। সুলায়মানীয়া এবং সেলিমীয়া মসজিদ! এই আখ্যানটা একইসাথে ভালোবাসার, গুরু-শিষ্যের সাথে শ্রদ্ধার সম্পর্ক, মিমার সিনানের চার শিষ্যের মাঝে ধোঁকা আর বিদ্বেষের সম্মিলন। আপনি আমন্ত্রিত ষোড়শ শতাব্দীর জাদুর শহর ইস্তানবুলে!