“করজে হাসানা” বইটির সম্পর্কে কিছু কথা:
মূল্যায়ন করজ বা টাকা পয়সা ধার প্রদান আমাদের ইসলামের একটি সৌন্দর্য। ইসলাম আমাদেরকে বিপদাপদে অন্য ভাইকে করজ প্রদান করে সহায়তা করার প্রতি উৎসাহিত করেছে। হাদীসে এই বিষয়ে অনেক ফজিলতও বর্ণিত হয়েছে। শরীয়তের পরিভাষায় এই ধরণের সুদবিহীন ঋণকেই বলে করজে হাসানা। আমাদের সমাজ থেকে করজ প্রদানের সংস্কৃতি ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। যার ফলশ্রুতিতে বেগবান হচ্ছে সুদের মত নিকৃষ্ট বিষয়ের আধিক্যতা। অভাবে বা বিপদে পড়া মানুষ কারাে থেকে করজে হাসানা না পেয়ে ছুটে যায় সুদী ব্যাংক বা সমিতির কাছে। সেখান থেকে মােটা অংকের সুদ নিয়ে নিজের প্রয়ােজন মেটায়। জড়িয়ে পড়ে একটি মারাত্নক গুনাহের মধ্যে। করজ প্রদানে আমাদের সমাজে অনীহা তৈরি হওয়ার অন্যতম একটি কারণ হলাে, করজদাতা পরবর্তীতে ভােগান্তির শিকার হওয়া। যিনি দয়া করে বিপদের মুহুর্তে তার দিকে সহযােগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন, তার পাওনা পরিশােধে সক্ষমতা থাকার পরও দেখা যায় অনেকে টালমাটাল করেন। করজ পরিশােধে অহেতুক বিলম্ব করেন। যার পরিণতি মােটেই মঙ্গলজনক নয়। করজ বা ঋনকে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া জটিলতা নিরসনে ইসলামী ফিকহ অনেক সুন্দর সুন্দর সমাধান দিয়েছে। ইত্যাকার নানান বিষয় নিয়েই তরুন আলেম মাওলানা ইলয়াস খান লিখেছেন করজে হাসানা’ নামক বইটি। এতে তিনি করজে হাসানার ফজিলত ও এই সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ অনেক মাসআলা সংকলিত করেছেন। আশা করি বইটি পাঠকদের উপকৃত করবে ইনশাআল্লাহ।