“উপন্যাস ত্রয়ী” বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা:
তিনটি উপন্যাস— উড়ুক্ক, ক্রুশকাঠে কন্যা, দুর পৃথিবীর গন্ধে- এই ত্রয়ীর মিছিলে কথাসাহিত্যিক নাসরীন জাহান স্রষ্টা এবং বলাই বাহুল্য পাঠকের কাছে বহুল পঠিত এই তিনটি উপন্যাসের পুনর্জন্ম বা প্রত্যাবর্তন।। জীবনের জ্যামিতিকে পুনর্বার আবিষ্কার করাই যদি পাঠের লক্ষ্য হয়, তবে এই উপন্যাস ত্রয়ী অনস্বীকার্য। নাসরীন জাহানের উপন্যাস ত্রয়ীতে পাঠক খুঁজে পাবেন সেই গােপন চিঠি যা উড়র নীনার কাছে পাঠিয়েছিল। দূর পৃথিবীর গন্ধের তৃষা, বিনিময় হয়েছিল নারী জীবনের অভিজ্ঞান। কিন্তু ঐশকাঠে কন্যার নীলুফারের জীবন মানচিত্রের সঙ্গে তা হয়ত বা বেমানান। নীনার প্রথম সন্তানের হলুদ মৃত্যু তৃষার ফুলসজ্জায় ফুটনােট হয়ে থাকে, নীলুফারের প্রেমের রাজধানী রঞ্জনের সঙ্গে তার কি দেখা হয়? এমন কতগুলাে সমীকরণ তিনটি উপন্যাস থেকে নতুন করে উঠে আসে। হিসেব মেলে বা মেলে না। তাতে পাঠকের কি? পাঠক তাে আজও একজন লেখকের জীবনের প্লাটফর্মে রাত ভাের করা এক অনামী রক্তজবা।