তাঁর কবিতা নিয়ে সাহিত্য সমালােচকদের মুখে যে কথাটি প্রায়শই উচ্চারিত হয় তা হলাে, হাবীবুল্লাহ সিরাজী যত না কবিতা লেখেন তার চেয়ে কবিতা আঁকেন ঢের। কথাটি এখন আর অতিরিক্ত নয়। মােটেই। তিনি কবিতাকে আর দশজনের চেয়ে । অন্যরূপে উপলব্ধিতে নেন, যে কারণে তাঁর। কবিতার শরীরে প্রলেপ পড়ে অন্য এক মায়ার, অন্য এক ছায়ার, অন্য এক দেখার- আর এইসব মিলেমিশে তাঁর কবিতা হয়ে ওঠে আলাদারও আলাদা। কেমন রকম আলাদা? তাঁর কবিতা পড়লে এক ধরনের স্নিগ্ধতা, এক ধরনের অপার ভালাে লাগায় ছেয়ে যায় মন। উপরন্তু তাঁর কবিতার শরীরে খুঁজে পাওয়া যায়। এদেশের হাজার বছরের ইতিহাস, ঐতিহ্য, কৃষ্টি আর বাঙালির গৌরবমিশ্রিত অধ্যায়। আর বিশাল বিস্তৃত গাঙ্গেয় বদ্বীপ। বিশেষ করে পদ্মাপাড়ের পলিমাটির ঘ্রাণ। ঈহা কবিতা গ্রন্থে হাবীবুল্লাহ সিরাজী কবিতা নিয়ে তার সাম্প্রতিক সময়ের পর্যবেক্ষণ ও চিন্তাভাবনার মানচিত্র এঁকেছেন। বরাবরের মতাে এ কবিতার। বইয়ে তিনি কি বিষয়বৈচিত্র্যে কী আদর্শে কী বক্তব্যে স্বতন্ত্র, স্বাধীন এবং মুক্ত বিহঙ্গ।