“দ্য পাওয়ার অব ইনটেনশন” বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা:
লেখক ওয়েন উদ্দেশ্যকে বিশ্বভ্রহ্মান্ডের এক শক্তি হিসেবে বিবেচনা করেছেন যা কিনা সৃষ্টিশীল কাজকে তরান্বিত করে। এই বইয়ে উদ্দেশ্য বলতে এমন কিছুকে বোঝানো হয়নি যা আপনি করেন, বরং একে চিত্রায়িত করা হয়েছে এমন এক শক্তি হিসেবে যা আপনার নিজেরই অংশবিশেষ। তিনি বলেন, জগতের প্রত্যেক মানুষই পরিচালিত হয় উদ্দেশ্য নামক এক অদৃশ্য শক্তির প্রভাবে। লেখক ওয়েনই সাহিত্যে প্রথম উদ্দেশ্যকে শক্তির বলয় বলে চিহ্নিত করেছেন। এই বইয়ে লেখক মানুষের ছয়টি ‘অহম’ বর্ণনা করেছেন ইতিবাচকভাবে-
১। আমার যা আছে তা নিয়েই আমি। আমার সম্পদ আমাকে সংজ্ঞায়িত দেয়।
২। আমি সেটাই যা আমি করি। আমার অর্জনই আমার ধরণ জানায়।
৩। লোকে আমাকে নিয়ে যা ভাবে আমি তা ই। আমার সম্মান আমার প্রকৃতি জানান দেয়।
৪। আমি আলাদা, সবার চেয়ে আলাদা। আমার শরীর আমার ভিন্নতা জানান দেয়।
৫। জীবনে না পাওয়া সবকিছু থেকে আমি আলাদা। আমার জীবন আমার অভিলাষ থেকে আলাদা।
৬। আমি ঈশ্বর থেকে আলাদা। ওনার ইচ্ছাতে আমার যোগ্যতা অনুসারে জীবন পরিচালিত হয়।
এছাড়াও নানা শিক্ষনীয় উক্তি ও কথামালার সমন্বয়ে লেখক ওয়েন রচনা করেছেন তার এই বিখ্যাত বইটি। প্রতিটা অধ্যায়ে আলোচনা করেছেন জীবনকে এগিয়ে নেবার পথে অভিপ্রায়ের যৌক্তিকতা, নিজেকে গড়ে তোলার প্রক্রিয়া। তো আত্মউন্নয়নমূলক বই পড়তে যারা ভালোবাসেন আশা করছি তাদের সবার জন্য উপযুক্ত একটা বই ‘দ্য পাওয়ার অব ইনটেনশন’।