‘ভালােবাসা ভয়ংকর কিছু যা তােমাকে যন্ত্রণা দিবে’। মারিয়ার ভাষায়, ব্রাজিলীয় যুবতি তার ছােটোবেলা থেকে বিশ্বাস করে আসছিল, কোনােদিন সে সত্যিকারের ভালােবাসার নাগাল পাবে না। রিও ডি জেনেইরাের একটি দৈবাৎ সাক্ষাৎ তাকে জেনেভায় নিয়ে যায়। তবে সে স্বপ্নে যে রঙিন জগৎ দেখেছিল বাস্তবে তা অলীক কল্পনায় পরিণত হয়। বাস্তবতা -নিজের দেহ বিক্রি করে তাকে তার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে হয়েছিল -সেই অমানবিক কাজ তাকে প্রকৃত ভালােবাসা থেকে আরাে দূরে সরিয়ে, মুগ্ধকর শারীরিক আনন্দের দিকে নিয়ে যায়।
তবে যখন একজন সুদর্শন চিত্রশিল্পী তার স্নায়ূবিক বাধা পরীক্ষা করলেন তখন তাকে তার অন্ধকার পথের সাথে ‘ভেতরের আলাে খুঁজে পাওয়ার একটি ঝুঁকি নিতে। হলাে। সে কি তার শরীরের বাধা অতিক্রম করে মনে বা আত্মায় প্রবেশ করতে পারবে যেখানে যৌনতা একটি পবিত্র বিষয়?
এই নতুন সাহসী উপন্যাসে দি অ্যালকেমিস্টের লেখককে তার সাফল্যের চূড়ায় দেখতে পাওয়া যায়, যা আমাদের সংস্কারকে চ্যালেঞ্জ করে, মনকে খুলে দেয় এবং পুরােপুরি বিমােহিত করে।