গল্পকারের কী কোনাে দায়িত্ব। থাকে? কোনাে এজেণ্ডা? গােপন। ইচ্ছে? আদর্শ? হয়তাে থাকে। কিন্তু সেসব লেখায় তুলে দেয়া কী উচিত? না অনুচিত? এসব নিয়ে নানা তর্ক হতে পারে। এসব তর্ক পেছনে রেখে গল্পে আমার পছন্দ। মানুষের মনস্তত্ত্ব এবং বিচিত্র জটিল। মনস্তত্ত্ব মানুষকে যে পথে টেনে নেয় সে পথের বা প্রক্রিয়ার পর্যবেক্ষণ। মানুষের মনকে নাঙ্গা করে দিলে কী উঠে আসে সেটা আবিষ্কারেই আমার আগ্রহ। এ গ্রন্থের প্রায় সবগুলাে গল্পই মানব মনের অন্ধকার দিক তুলে ধরে। মানুষকে মহৎ প্রমাণ করে না। কেননা মানুষ ততক্ষণ পর্যন্ত মহত্তে পৌছাতে পারে না, যতক্ষণ না জৈবিক ব্যক্তিৰ্গত স্বার্থ আদর্শের গণ্ডি পেরুতে পারে। জৈবিক তাড়না, ব্যক্তিস্বার্থ আদর্শ মানুষের চারপাশে সীমারেখা টেনে দেয়। এই সীমারেখা আমরা প্রায়শই মুছে ফেলতে নারাজ। আমরা কেউ। কেউ এইসব সীমারেখা বরং তীব্র করি এবং একটা বৃত্তের ভেতরে বাস করি স্বস্তিতে; এটা ভুলে যে, এই বেঁচে থাকা আমাদের কেবল প্রাণী করে তােলে, বিচ্ছিন্ন করে; মহৎ করে না।