“ঠাকুরমার ঝুলি” বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা:
বাংলার চিরায়ত রূপকথাকে যিনি প্রথম দু-মলাটের মধ্যে গ্রথিত করেন, তিনি দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার। পিসিমার জমিদারি দেখাশােনার সূত্রে ময়মনসিংহের গ্রাম্য বৃদ্ধাদের কাছ থেকে দক্ষিণারঞ্জন যে সকল ‘কিচ্ছা’ সংগ্রহ করেন, দীনেশচন্দ্র সেনের পরামর্শে সেগুলিকে ভাগ করেন চার ভাগে– রূপকথা, গীতিকথা, রসকথা এবং ব্রতকথা। এর মধ্যে রূপকথার বেশ কিছু গল্পের লিখিত রূপই ঠাকুরমার ঝুলি। স্বয়ং রবীন্দ্রনাথের প্রশংসাধন্য ও তাঁরই ভূমিকাসমন্বিত এই বইটির কোনাে বিকল্প আজ অবধি রচিত হয়নি। ফরাসি রূপকথার নবরূপায়নে চার্লস পেরােল্টের যে ভূমিকা, জার্মান রূপকথার সংগ্রহ ও সংকলনে। ‘গ্রিম ভাইদের যে অবদান, দক্ষিণারঞ্জনের কৃতিত্ব তার সমতুল্য। উপরন্তু, বাংলার ঠাকুরমা-দিদিমাদের | মুখের ভাষা, ভাব ও ভঙ্গিকে অক্ষুন্ন রেখে যে গল্প তিনি শুনিয়েছেন, শিশুসাহিত্যে তার তুলনা মেলা ভার।