“মুমিনের বিনোদন” বইয়ের সংক্ষিপ্ত লেখা:
মানুষ মাত্রই বিনোদনপ্রিয়। স্বভাবে তার মিশে আছে আনন্দ ও উচ্ছ্বল-প্রবণতা। সে হাসতে চায়, খেলতে চায়, নানা ব্যস্ততার মাঝেও সময় পেলে একটু বিনোদন করতে চায়। বিনোদনেরও রয়েছে নানা প্রকার, যথা- আত্মিক বা দৈহিক, ব্যক্তিগত বা দলগত, মেধাভিত্তিক বা শক্তিভিত্তিক। সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে খেলা ও বিনোদনের বিভিন্ন পদ্ধতি। প্রযুক্তির কল্যাণে আবিস্কার হচ্ছে প্রতিদিন আনন্দ-উচ্ছ্বাসের নিত্যনতুন রীতিনীতি। বিনোদন ও আনন্দের এতসব উপকরণ দেখলে স্বভাবতই একজন মানুষের মন উতলা হয়ে ওঠে। ক্ষণিকের তরে আনন্দ-উল্লাসে নিজেকে ভাসিয়ে দিতে ইচ্ছে করে। বিশেষত যখন সমাজের চারপাশে শিশু থেকে বৃদ্ধ অধিকাংশ লোকই এসব খেলা-বিনোদনে মত্ত, তখন স্বভাবতই রক্ত-মাংসের একজন মানুষ হিসেব নিজেরও সেসব বিনোদনে অংশগ্রহণ করতে মন চায়।
কিন্তু একজন মুমিন হিসেবে কি এ অবাধ বিনোদন আমার জন্য অনুমোদিত? একজন মুসলিম হিসেবে কি পাশ্চাত্যের আবিস্কৃত এসব খেলার উপকরণ আমার জন্য বৈধ? আল্লাহর একজন নগণ্য দাস হিসেবে এটা আমাকে ভাবতেই হবে। বস্তুত এখানেই একজন মুমিন ও কাফিরের মাঝে পার্থক্য নির্ণয় হয়ে যায়। কাফির দুনিয়ার কোনো কাজে কখনো কারও পরোয়া করে না। কিন্তু একজন মুমিনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই লক্ষ করতে হয় যে, এ কাজে মহান রবের অনুমোদন আছে কিনা। আফসোস যে, আমাদের সমাজের নামসর্বস্ব অধিকাংশ মুসলিম এ ব্যাপারে শরয়ি অবস্থান না জেনেই জড়িয়ে পড়ছে পশ্চিমাদের পাতানো ফাঁদে, যা কখনো একজন প্রকৃত মুমিনের কাজ হতে পারে না। সে তো প্রথমে জেনে নেয়, এ ব্যাপারে শরয়ি দিকনির্দেশনা কী। অনুমোদন থাকলে তবেই সে অগ্রসর হয়; নয়তো সে থেমে যায়।
একজন মুমিনের জীবনে বিনোদন কীভাবে হতে পারে, প্রচলিত বিভিন্ন খেলা-বিনোদনের ক্ষেত্রে মূলনীতি কিংবা এ ব্যাপারে তার সীমারেখাই বা কতটুকু—ইত্যাকার বিষয়ে কি আমার জানার ভাণ্ডার সমৃদ্ধ? উত্তর যদি না হয়ে থাকে, তাহলে চলুন দেখি, ইসলাম এ ব্যাপারে কী বলে…! কী বলে সে একজন মুমিনের বিনোদনের সীমারেখার ব্যাপারে…!