“সুখেদুখে বৃষ্টিনদী” বইয়ের সংক্ষিপ্ত লেখা:
ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশে সেইদিন বোধিবৃক্ষ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিছিল মাহমুদকে বলতে শোনা গেল, ‘অনেক সময়ই আমরা বড়রা এমন অনেক কাজ করে ফেলি, যে জন্যে তোমাদের কষ্ট বাড়ে। তোমাদের ভোগান্তি বাড়ে।’ কেন তিনি বলতে গেলেন এমন কথা? কী এমন কাজ করল বড়রা যে জন্যে কষ্ট পেতে হলো ছোটদের, স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের? কী এমন ঘটনা ঘটল সেদিন বৃষ্টিনদী গ্রামে যে, গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে শহরে পালালো অরিত্র আর শ্যামল? কেনইবা সেই গ্রাম জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করার পর একদল লোক ঢুকে পড়ল বোধিবৃক্ষ উচ্চ বিদ্যালয়ের ভেতর? বড়দের জগতে অনেক কিছুই ঘটে। বড়রা হয়তো চিন্তা করে, ছোটরা এসবের কিছুই বোঝে না। কিন্তু বুঝুক বা না বুঝুক, সেসব তাদের ঠিকই স্পর্শ করে। খারাপ ঘটনা হলে কষ্ট তাদেরও পেতে হয়, যন্ত্রণায় তাদেরও ভুগতে হয়। তারাও তখন তাদের মতো করে কষ্ট থেকে মুক্তি পেতে চায়, বাঁচতে চায় যন্ত্রণার হাত থেকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কি পেরেছিল অশেষ, অরিত্র, তৃণা, দীপিকারা বড়দের জগতের সেইসব ঝড়ঝাপটা থেকে বাঁচতে?
এটি সেরকমই এক গল্প-যেখানে চারপাশের নানা অন্যায়-অপরাধের মধ্যেও কিশোর-কিশোরীরা চাইছে ভালো থাকতে। চাইছে অশুভ শক্তিকে পরাস্ত করতে। এটি তাদেরই গল্প- যারা জ্বালিয়ে রেখেছে সেই উজ্জ্বল আদর্শের আলো, যা একদিন জ্বালিয়েছিলেন প্রতিবাদী শিক্ষক শহিদ ড. শামসুজ্জোহা। যার উত্তরাধিকার মিছিল মাহমুদ।