ভুয়া সার্টিফিকেটের মুক্তিযোদ্ধা এ রকম একটা অভিযোগ এনে সচিবদের কয়েকজনের স্যুট-টাই পরা রঙিন ছবি দেশের গুরুত্বপূর্ণ সবকটি দৈনিক কাগজে ছাপা হয়েছে–বেশিরভাগ পত্রিকার প্রথম পাতায়, কয়েকটির শেষের পাতায়। একই কোম্পানির একটি বাংলা ও একটি ইংরেজি পত্রিকা হাতে নিয়ে আব্বু ছবিগুলো খুব খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখল, শুরুতে কপাল কুঁচকে ছিল, ছবি দেখা শেষ হলে আব্বুর চেহারাতে রোশনাই ঝলসে উঠল। ঠোঁটে সাফল্যের মৃদু হাসি, তার চোখ থেকেও অবিশ্বাস্য আলো ঠিকরে পড়ল। আব্বু আনন্দে সদ্য ছোলা খাওয়া ঘোড়ার মতো চিঁহিচিঁহি শব্দ করে উঠল। আমার আব্বুর আনন্দ প্রকাশের ধরনটা অন্যদের চেয়ে ভিন্ন। আব্বুরটা স্পেশাল, ঘোড়ার মতো। বহু সংখ্যক ভুয়া যোদ্ধার মাত্র কজনের ছবি ছাপা হয়েছে, কারণ পদমর্যাদায় তারা অন্যদের উপরে। প্রতিবন্ধী ছেলে তার ভুয়া সার্টিফিকেটধারী বাবাকে যেভাবে দেখছে, রাষ্ট্র কি সেভাবে দেখছে? আপনি কীভাবে দেখছেন? আন্দালিব রাশদীর পাঠক জানেন, তাঁর উপন্যাস হাতে নিলে শেষ না-করে ওঠা যায় না। আন্দালিব রাশদীকে নিয়ে সমস্যা এটাই।