“পরেশের বউ” বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ
পরেশের বউ ধ্রুব এষ— মলাটের এটক তথ্য ভুলে গিয়ে আপনি উপন্যাসটি পড়তে শুরু করলে আবিষ্কার করবেন— একটা গােটা শতাব্দী বাদুরের মতাে উলটো হয়ে ঝুলে আছে বুড়াে বটগাছে এবং সেই বটগাছকে কেন্দ্র করে রচিত হচ্ছে কিছু দৃশ্যকল্প । মলাটের তথ্যগুলাে ভুলে যাবার কথা বললাম, কেননা জননন্দিত সাহিত্যিক ও শিল্পী ধ্রুব এষ আমাদের কাছে একটি মিথের নাম। এই মিথ এতটাই শক্তিশালী যে, সে আমাদের প্ররােচিত করে ভাবনার চেনা পথে ধ্রুব এষকে খুঁজে বের করতে। কিন্তু ধ্রুব এষ লুকিয়ে থাকেন অন্যখানে— বস্তুত তিনি গােপনে বহন করে চলেন শিল্পের কৌমার্য এবং কী আশ্চর্য কমার্স-করপােরেশনের এই চালিয়াতি যুগেও সেটি অক্ষত! পরেশের বউ ধ্রুব এষের সেই অক্ষত কৌমার্যের স্মারক— যা শিল্পের সহচর হলেও সহােদর নয়। ফলে অতিপ্রাকৃত উপন্যাসের প্রথাগত কাঠামাে ভেঙে পড়ে এবং পরেশের সঙ্গে আমরা ভ্রমণ করি। বেঢপ নিভারাণীর না-বুঝের জগত থেকে প্রতিমাসম শিবানীর অবুঝের জগত পর্যন্ত । বইয়ের প্রিন্টার্স লাইনের যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষ হলে চলুন পাঠক, এবার তবে প্রবেশ করা যাক পরেশের বউ নাম্নী এই অক্ষরমালার ম্যাটিনি শাে-তে ব্লাবাে বলেছিলেন না— লেখক ও পাঠকের গ্লাসের টুংটাং মগজে উচ্চারিত হয় বলেই শিল্প এতটা সুমধুর।
পরেশের বউ অতিপ্রাকৃত উপন্যাসের আড়ালে এক ভ্রমণ যাত্রা। লেখক এই ভ্রমণযাত্রায় পাঠকের মগজে চালান করে দেন কিছু দৃশ্যপট- যা তার মধ্যে তৈরি করবে এক ঘােরের, এক বিস্ময়ের।