“অ্যামাজন রহস্য” বইয়ের ফ্ল্যাপের অংশ:অ্যামাজন পৃথিবীর বৃহত্তম রেইন ফরেস্ট। এর আয়তন প্রায় ৫৫ লক্ষ বর্গ কিলােমিটার। দক্ষিণ আমেরিকার নয়টি দেশ নিয়ে অ্যামাজনের বিস্তৃতি । পৃথিবীর দ্বিতীয় দীর্ঘতম ‘অ্যামাজন নদী’ এই বনের মধ্য দিয়েই প্রবাহিত। বড় প্রাণীদের তুলনায় ছােট পােকামাকড় আর রং-বেরঙের পাখিতে অ্যামাজন সমৃদ্ধ। এ বনেই থাকে বানরখেকো ‘হার্পি ঈগল’ আর বিখ্যাত ‘ম্যাকাও পাখি ।
পৃথিবীর ২০পার্সেন অক্সিজেন সরবরাহ করে অ্যামাজন। বন । নিউইয়র্ক শহরে নয় বছরে যত পানি ব্যবহৃত হয়। অ্যামাজন নদীতে তার চেয়েও বেশি পানি প্রবাহিত হয় একদিনে। পৃথিবীর পরিচ্ছন্ন সুস্বাদু পানির ২০ ভাগ প্রবাহিত হয় এই নদীতে। অ্যামাজন এতই বিশাল জীববৈচিত্রে পরিপূর্ণ বন যে এর একটিমাত্র লতাগুল্মে থাকতে পারে বহু প্রজাতির পিপড়া। এত পিঁপড়া যা হয়ত সমগ্র ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জেও নেই! এক অ্যামাজনে আছে ৩০০০ প্রকারের ফল । তবে খাওয়ার যােগ্য ফল আছে মাত্র ২০০ প্রকারের।
এই বনে ১০ মিলিয়ন প্রজাতির প্রাণী রয়েছে। এর মধ্যে আছে ৪০,০০০ প্রজাতির গাছ, ১৩০০ প্রজাতির পাখি, ৩০০০ প্রজাতির মাছ এবং ২.৫ মিলিয়ন ভিন্ন প্রজাতির পােকামাকড় । সাহারা মরুভূমি থেকে প্রতি বছর ৪০ মিলিয়ন টন বালি উড়ে আসে অ্যামাজনে! অ্যামাজনে এমন অনেক আদিবাসী গােষ্ঠী আছে। বহির্বিশ্বের সাথে যাদের কোনাে যােগাযােগ নেই।
অ্যামাজন নদী একসময় প্রবাহিত হতাে প্রশান্ত মহাসাগরের দিকে । গতিমুখ বদলে এটি এখন প্রবাহিত হয় আটলান্টিক মহাসাগরের দিকে! অ্যামাজন সত্যিই পৃথিবীর এক রহস্যময় বন ও নদী । সেই অপার রহস্যের জগতে সকল পাঠককে আমন্ত্রণ.