অর্থনৈতিক সমস্যা সমাধানে যাকাতের ভূমিকা

৳ 270.00

লেখক
প্রকাশক
আইএসবিএন
(ISBN)
9789849435792
ভাষা বাংলা
পৃষ্ঠার সংখ্যা ১৫২
সংস্কার ২য় মুদ্রণ : মে, ২০২৩
দেশ বাংলাদেশ

উসতায ড. ইউসুফ আল কারযাভীর যাকাত বষিয়ক গবষেণা পুরো পৃথবিী জুড়ইে সমাদৃত ও প্রশংসতি। তাঁর دورالزكاة في علاج المشكلات الاقتصادية বইটি দারুণ মুগ্ধকর। এ দেশের যেসব পাঠক ইসলামী সমাজ বিনির্মাণের স্বপ্ন দেখেন, তাদেরও এ গ্রন্থটি মুগ্ধ করবে। ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠায় তাদের অনুপ্ররণা যোগাবে। উসতায কারযাভী একটি আদর্শ ইসলামী রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখেন; তাই তিনি তাঁর প্রায় সবগুলো গ্রন্থে একটি আদর্শ ইসলামী রাষ্ট্র ও সমাজে বাস্তবায়ন উপযোগী চিন্তা-দর্শন উপস্থাপনের প্রয়াস পেয়েছেন। তাঁর এ গ্রন্থটিও এতদুদ্দেশ্যেই লেখা। ইসলামের যাকাত বিধান বাস্তবায়ন করে কীভাবে একটি রাষ্ট্র অভাব-অনটন ও দারিদ্র্যমুক্ত সমাজ পেতে পারে; কী করে যাকাতভিত্তিক অর্থনীতি মানুষের অর্থনৈতিক সমস্যার সমাধান করতে পারে– তিনি এ গ্রন্থে তা দেখিয়েছেন। পাঠক অবশ্যই দেখতে পাবেন যে, ইসলামী শরিয়ত যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করে যাকাত ব্যবস্থা কার্যকর করা হলে সে সমাজে মানুষের অর্থনৈতিক সমস্যার সমাধান অবশ্যই হতে বাধ্য।

শায়খ প্রফেসর ড. ইউসুফ আবদুল্লাহ আল কারযাভি (১৯২৬-) মিশরীয় বংশোদ্ভূত একজন প্রভাবশালী আধুনিক ইসলামি তাত্ত্বিক ও আইনজ্ঞ। তিনি মুসলিম ধর্মতত্ত্বিকদের অভিজাত সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন অব মুসলিম স্কলার্সে (International Union of Muslim scholars)-এর সাবেক চেয়ারম্যান। জন্ম ১৯২৬ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর। মিসরের উত্তর নীলনদের তীরবর্তী সাফাত তোরাব গ্রামে। দুই বছর বয়সে বাবা ইন্তিকাল করলে চাচা তার লালন-পালন করেন। দশ বছর বয়সে তিনি সম্পূর্ণ কোরআন হিফজ করেন। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পড়াশোনা করেন আল-আজহার কারিকুলামে। প্রাচীন ইসলামী বিদ্যাপীঠ আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উসুলুদ দ্বীন অনুষদ থেকে অনার্স, আরবি ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা এবং পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। মিসরের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অধীন ‘Institute of Imams’ এর পরিদর্শক হিসেবে কর্মজীবনে পদার্পণ করেন। কিছুদিন তিনি আওকাফ মন্ত্রণালয়ের ‘Board of Religious Affairs’ এ কর্মরত ছিলেন। ১৯৭৭ সালে তিনি কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘শরীয়াহ এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদের প্রতিষ্ঠাকালীন ডীন নিযুক্ত হন। ১৯৯০ পর্যন্ত তিনি এখানে কর্মরত থাকেন এবং একই বছর তাঁর নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘সীরাত ও সুন্নাহ গবেষণা কেন্দ্র’। ১৯৯০-৯১ সালে আলজেরিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের Scientific Council এর চেয়ারম্যান হিসেবে কাজ করেন। ১৯৯২ সালে কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সীরাত ও সুন্নাহ গবেষণা কেন্দ্রের ডিরেক্টর হিসেবে পুনরায় কাতার ফিরে আসেন। তিনি জর্ডানের রয়্যাল অ্যাকাডেমি ফর ইসলামিক কালচারাল অ্যান্ড রিচার্জ (Royal academy for Islamic culture and research), ইসলামি সম্মেলন সংস্থা (OIC), রাবেতা আল-আলম আল-ইসলামি এবং ইসলামিক স্টাডিজ সেন্টার, অক্সফোর্ড এর সম্মানিত সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ১৪১১ হিজরিতে ইসলামী অর্থনীতিতে অবদান রাখায় ব্যাংক ফয়সল পুরষ্কার লাভ করেন। ইসলামি শিক্ষায় অবদানের জন্য ১৪১৩ হিজরিতে মুসলিম বিশ্বের নোবেল খ্যাত কিং ফয়সাল অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন । ১৯৯৭ সালে ব্রুনাই সরকার তাকে ‘হাসান বাকলি’ পুরষ্কারে ভূষিত করে।


বই সম্পর্কে কোন জিজ্ঞাসা বা মতামত থাকলে আমাদেরকে জানান
শেয়ার করুন

লেখকের অন্য বইসমূহ