“শোনো ভাই সভাজন অধমের নিবেদন। যেমত হইলো লেখা পয়ার বচন মালাধর বসু নামে সেই যে রচেছি। এই নাম ডেকে ডেকে পয়ার ধরেছি ভাবগত অর্থ যতো পয়ারে ধরিয়া। লোক বুঝাইতে গাই পাঁচালি করিয়া নারায়ণ দেব নাম ধরি তারপর। পয়ারে সঁপিয়া মন বাঁধিয়াছি ঘর বিজয় গুপ্তের নামে বাঁধি এই পদ। নাম ধরি নাম জপি কাটাই বিপদ লোচন দাসের কথা কী কহিবো আর। এই পদ বিরচিতে ধরি নাম তার আরো আরো যারা যারা করিলা বর্ণন। শব্দলীলা পদ্যলীলা পয়ার তর্পণ সেই কবে নিজগুণে বহু মহাজন। লাচাড়ি পয়ার ছন্দে করিলা সৃজন তারপর ভিন রূপ ভিন ছলাকলা। বন্ধ হলো দেশি পদ দেশি রূপে বলা একদা দুপুর বেলা কী যেন কেমনে। লিখিতে পয়ার বই পশিলো মরমে অন্তরে আদেশ পাই নিজেই নিজের। তাইতো পয়ার বাঁধি মূলত বীজের লিখিতে হইলো সাধ পুঁথির চরণ। পয়ারপুস্তক এক করিতে সৃজন আমি অতি হীন মতি ছেড়েছুঁড়ে সব। আদি ও আসল সুরে করি জপতপ ভুল হলে করো ক্ষমা জ্ঞানীগুণিজন। দেশি পদে দেশি সুরে রাখিও স্মরণ মাতা অতি পুণ্যবতী লাল বিবি নাম। তাহার উদরে জন্মি জপি নামধাম অন্তর শুকায় মোর শব্দ অভিলাষে। ইরমে রচিলা পদ গীত ভালোবেসে” এই প্রকার বহু কবিতা মুজিব ইরম প্রণীত এই পয়ারপুস্তকে পাওয়া যাবে।