বিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে লাতিন আমেরিকার সাহিত্য যাঁদের হাত ধরে জেগে উঠেছে তাঁদের অন্যতম প্রধান পাবলো নেরুদা, আলেয়ো কার্পেন্তিয়ার, হোর্হে লুই বোর্হেস, গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ, মারিও বার্গাস ইয়োসা এবং কার্লোস ফুয়েন্তেস। কবিতায় এক অনতিক্রম্য উচ্চতায় পাবলো নেরুদার অবস্থান; নিজস্ব সাহিত্য ভাবনা ও শৈলীতে গোটা সাহিত্যবিশ্বকে প্লাবিত করে রেখেছেন কথাসাহিত্যিক মার্কেজ; অনতিক্রম্য তিনিও, তাঁর প্রভাব ও অনুগত পাঠকসংখ্যা আর সকলকে ছাড়িয়ে।
মার্কেজ সাহিত্যকর্মের জন্য নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন-এই বক্তব্যটি অন্তত মার্কেজের জন্য তেমন গুরুত্ব বহন করে না, পুরস্কার তাঁকে প্রতিষ্ঠিত করেনি, মার্কেজকে পুরস্কৃত করতে পেরে সুইডিশ অ্যাকাডেমি সম্মানিত হয়েছে।
১৯৯০ সালে মারিও বার্গাস ইয়োসা পেরুর প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচন করেন। প্রাথমিকভাবে তাঁর বিজয় অনেকটা নিশ্চিত ধরে নেওয়া হলেও সন্ত্রাসী আক্রমণ ও ব্যাপক কারচুপির কারণে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ফুজিমুরোর কাছে পরাজিত হন। সক্রিয় এই রাজনৈতিক জীবন তাঁকে সৃজনশীলতা থেকে সরিয়ে নিতে পারেনি। কিন্তু অনেকটা সময় নষ্ট করেছে। একালের বিশ্বসাহিত্যে যাদের প্রভাব স্পষ্ট, তিনি তাঁদের অন্যতম। তাঁর গ্রন্থ সংখ্যা তিরিশের বেশি। মারিও বার্গাস ইয়োসা স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লিখেন, সংগ্রামী মানুষের কথা বলেন, পরাজিত মানুষের নতুন উদ্যমে বেঁচে থাকার কাহিনি বয়ন করেন। তিনিও স্মরণীয় নোবেল বিজয়ীদের একজন।
মার্কেজ ও ইয়োসাকে জানতে এই বইটি অবশ্যপাঠ্য।
আন্দালিব রাশদীর পাঠক জানেন, তাঁর হাতের প্রবন্ধ-নিবন্ধ ও অনুবাদ তাঁর উপন্যাসের মতোই পাঠককে ধরে রাখে।