লিলি জানে সে আর বাঁচবে না। মৃত্যুপথযাত্রী লিলি ছােটবােন মিলিকে চুপিচুপি কিছু কথা বলে গেল। যে কথাগুলােতে গল্পের স্বাভাবিক গতি হঠাৎ অন্যদিকে মােড় নিল। মিলি পড়ে গেল মহাসংকটে। অল্প সময়ের মধ্যে তাকে মিলাতে হবে জীবনের কঠিন হিসেব। কঠিন সমীকরণের মুখােমুখি মিলি। গুড়িগুড়ি বৃষ্টির মধ্যে সারাদিন ধরে হাঁটছে নয়ন। খুব কান্না পাচ্ছে ওর। বাবা কাছে নেই, বাবাকে জড়িয়ে ধরে শব্দ করে কাঁদতে পারলে বুকটা হাল্কা হতাে। অভিমানি মােবারক হােসেন শুয়ে আছে জোছনা প্লাবিত মুক্ত আকাশের নিচে। ষাটবছরের দীর্ঘজীবনে এত সুন্দর মুক্তআকাশ সে কোনােদিন দেখেনি। জসিমের মা আর মেঘলার সাথে দেখা না হলে তার জানাই হতাে না- জীবন কতাে সুন্দর। বাবার মৃতদেহ সামনে নিয়ে মধ্যরাতে একা পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করছে ষােড়শী মেয়ে মেঘলা। বাইরে অসহ্য সুন্দর জোছনার আলাে, আলাে আঁধারির খেলায় মেতে উঠেছে।