অসমতার সামাজিক প্রভাব ক্রমাগত এখন বর্ধিষ্ণুভাবে বােধগম্য—যেমন উচ্চমাত্রায় অপরাধ সংঘটন, স্বাস্থ্য এবং মানসিক অসুস্থতা, নিম্নমাত্রিক শিক্ষাদীক্ষা এবং সেই সঙ্গে স্বল্পমাত্রার জীবনায়ু ইত্যাদি। কিন্তু অসমতার কারণগুলাে কী? কেন এটি দ্রুত বর্ধিষ্ণু এবং এর অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ফলাফলই বা কীরূপ? এই ব্যতিক্রমধর্মী বইয়ে জোসেফ স্টিগলিজ এই প্রশ্নগুলাের উত্তর দিয়েছেন।
তিনি দেখিয়েছেন তারা কীভাবে তাদের কৌশলগুলাে ব্যবহার করেন। এখানে বাজার যেমন সুদক্ষ নয় তেমনই তা সুস্থিরও নয়। ক্রমাগত বাজার উত্তরােত্তরভাবে বৃদ্ধিমুখী যা প্রতিযােগিতাহীন পরিস্থিতির জন্ম দেয়। ফলে এখানে এর প্রভাবে অর্থ ও সম্পদ ক্রমান্বয়ে কতিপয় ব্যক্তির হাতে কেন্দ্রীভূত হয়ে উঠছে; প্রবৃদ্ধি এবং জিডিপির পরিমাণ নিম্ন গতিসম্পন্ন হয়ে উঠছে।
স্টিগলিজ যুক্তিসহকারে সেইসঙ্গে দেখিয়েছেন যে, রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানসমূহ এ সকল অপতৎপরতার বিরুদ্ধে প্রতিরােধ গড়ে তােলার পরিবর্তে বরং তা প্রায়শই আরও উসকে দিচ্ছে। স্টিগলিজ যুক্তিসহকারে একটি ভিন্ন পথ দেখিয়েছেন যার মাধ্যমে এ অবস্থা হতে মুক্ত হয়ে অন্যরকম বিশ্ব নির্মাণ সম্ভব। ‘ দ্য প্রাইস অব ইনইকুয়ালিটি বইয়ে কার্যত মুক্তবাজার ধারণার বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী এবং অপরিহার্য সমালােচনা উপস্থাপন করা হয়েছে।
যাে স্টিগলিজ, নােবেলবিজয়ী অর্থনীতিবিদ; তিনি চমৎকারভাবে ব্যাখ্যা করেছেন যে, কীভাবে অর্থনীতি বাস্তবে কাজ করে থাকে। সুনির্দিষ্টভাবে বলা যায় কেন এবং কী কী প্রকারে | তা উচ্চস্তরের শতকরা মাত্র ১ ভাগের স্বার্থে কাজ করে চলেছে। অথচ বাদবাকি নিম্ন ও মধ্যস্তরের শতকরা ৯৯ ভাগ বঞ্চনার শিকারে পরিণত হচ্ছেন। বইখানি উদ্দীপনাময় এবং জোরালাে যুক্তিসম্পন্ন; এটি একটি মডেল।
কিন্তু তা সদ্গুণের একটি দিক’
—জেরাড বার্নস্টেইন, রােলিং স্টোন