ওয়াজ এবং আওয়াজ এক না। এক করে ফেলা হচ্ছে। আওয়াজের নিচে ওয়াজ চিরেচেপ্টা। চলছে ‘যেমন খুশি সাজো’ স্টাইলে। বক্তা আর কমেডিয়ান প্রতিশব্দ হয়ে যাচ্ছে। ওয়াজের মজলিস হয়ে যাচ্ছে গানের আসরের মতো। অভিনয়ও চলছে সমানতালে। এমনটা আমরা চাইনি।
জিনিস যত ভালো, নষ্ট হলে তত বেশি গন্ধ ছড়ায়। একড্রাম ঘিয়ের মাঝে একফোঁটা কেরোসিন পড়ে গেলে ড্রামের পুরো ঘি-ই নষ্ট হয়ে যায়। একপুকুর ভালোর মধ্যে একচিলতে কালোর মিশ্রণে পুকুরের সব পানি নাপাক হয় না; কিন্তু জেনেবুঝে সেই পানি কেনই-বা পান করতে হবে!
বাংলাদেশে কত জন বক্তা আছেন আমরা জানি না। গোণায় ধরার মতো বক্তার সংখ্যা যদি হয় ৫ হাজার, ফাউল বক্তার সংখ্যা ১০০ জনের বেশি হবে না। এই ১০০ জনের কারণে আমরা যেমন ৪ হাজার ৯০০ জনকে অপমান করব না, একইভাবে ১০০ হুতোম প্যাঁচার কারণে বাগান উজাড় হতেও দেবো না।
ওয়াজের সেকাল-একাল এবং আগামীর আন্তঃপথে একটুকরো সাজেশন—বিরাট ওয়াজ মাহফিল।
মানুষ ওয়াজ শুনতে চায়, আওয়াজ না। মানুষ ওয়াজ মাহফিলে এসে গান শুনতে চায় না; অভিনয় দেখতে চায় না; চায় না অনর্থক বিষয়ের সমালোচনা আর নিন্দামন্দ শুনতে। দীনি এই মাহফিলগুলো স্বরূপে ফিরে আসুক। এর জন্য উত্তরণের উপায় খোঁজা দরকার।