বাবা ফ্লাস্ক থেকে চা ঢেলে খেতে লাগল। তখনই কাছে একটা টিট শব্দ শুনতে পেল। প্রথমে টিট। তারপর টিট-টিট। তারপর টিট-টিট-টিট। বাবা। চারিপাশে তাকাল। দেখে, তার ডানপাশে ঝাঁকড়া এক গাছে পাতার আড়ালে বসে আছে খুব ছােট একটা পাখি। বসে আছে ঠিক নয়, একটু একটু লাফাচ্ছে আর টিট-টিট-টিট ডাকছে। পাখিটা খুবই সুন্দর। উজ্জ্বল এবং চকচকে নীল রঙের পালক। লম্বা বাঁকানাে আর সুঁচালাে ঠোট। ঠোটের রঙ কুচকুচে কালাে। নাম কী পাখিটার? টুনটুনি না মৌটুসি? এত ছােট আকারের পাখি। পাখিবিশারদরা বলতে পারবে। বাবা মনে মনে বলল, নাম দিয়ে কাজ কী? পাখিটা সুন্দর তাকে দেখাে। তার গান মিষ্টি তা শােনাে। মানুষের গান শুনলে তার নাম জানার দরকার হয়। কারণ, তার সিডি বা ক্যাসেট বাজারে কিনতে পাওয়া যায়। পাখির কোনাে সিডি-ক্যাসেট নেই। তাই তার নাম জানারও দরকার নেই। রবীন্দ্রনাথের গান না শুনে আজ পাখিন্দ্রনাথের গানই শােনা যাক। বাবা বলল, গা বাবা, মনের সুখে গলা ছেড়ে গা।