“ছড়ায় ছড়ায় বাংলাদেশ” বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা:
“বল বীর, বল উন্নত মম শীর” বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ‘সংকল্প’ কবিতাটি আমার হীয়ায় ঝংকার তােলে। তাঁর রণ সংগীত “চল চল চল, ঊর্ধ্ব গগনে বাজে মাদল” আমার কর্মপ্লীহা বৃদ্ধি করে। আর আমার সাহিত্য পিপাসু মন একটি সােনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে রচিত সাহিত্যের রস খুঁজে চলছে অবিরাম। আমাদের জাতীয় কবির মতাে ওইরূপ গর্জে ওঠা সাহিত্যকর্ম এখন ততােটা চোখে পড়ে না বললেই চলে। অথচ একটি সুশৃঙ্খল রাষ্ট্র পরিচালনায় কিছু দিক নির্দেশনামূলক সাহিত্য রচিত হলে, ওসব কেবলমাত্র কুৎসা নয়, বরং রাষ্ট্রপরিচালকদের জন্য পথ-প্রদর্শকও বটে। আমরা কেউই ভুলের ঊর্ধ্বে নই। সহস্র ভালাে কাজ করতে গিয়ে মনের অজান্তেই বা দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্নতার কারণে কতক কাজ ও কর্মকৌশল কারাে কারাে দৃষ্টিতে কিছু খুঁত ধরা পড়ে। আর তা যদি কোনাে বিজ্ঞজন তার লেখার মাধ্যমে প্রকাশ করে; তবে নিঃসন্দেহে ওইসব লেখা সকলের জন্য আলাের দিশারী হয়ে সুপথের পথ দেখায়। আমার দৃষ্টিতে জনাব ‘মাকছুদুল আলম খন্দকার খােরশেদ’ এর “ছড়ায় ছড়ায় বাংলাদেশ” এর মুক্ত মনের কথামালাগুলাে দ্রুপ সাহিত্যকর্ম। যদি তার সাহিত্যকর্ম পাঠে কোনাে ব্যক্তি বা গােষ্ঠীর অন্তরে ঘণ্টা বাজে, ওই জন্য ক্ষমা প্রার্থী এবং অনুরােধ থাকবে এতে ফুঁসে ক্ষিপ্ত হয়ে নিজেদেরকে সংশােধন করে সােনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে নিঃস্বার্থ কাজ করে চলুন। বাঙালি সবসময় ভালাে কাজের সঙ্গ দেয়।