হাসান চৌধুরী সুন্দরপুর হাইস্কুলের শিক্ষক। গণিত পড়ান তিনি। অঙ্ক স্যার নামেই তিনি সবিশেষ পরিচিত। দুষ্টু ছাত্রছাত্রীরা আড়ালে-আবডালে তাঁকে বলে- টঙ্ক স্যার।
অঙ্ক স্যার মনে করেন, লেখাপড়া কোনো চাপ নয়, লেখাপড়া মানে মজা। রসিয়ে রসিয়ে লেখাপড়া করতে হয়। আর তাই তিনি ক্লাসে যতটুকু পড়ান, তার চেয়ে বেশি গল্প করেন। আসলে তিনি গল্প করতে করতে পড়িয়ে ফেলেন। মজার সব গল্প।
আর ক্লাসের বাইরে? সেখানেও তিনি একজন মজার মানুষ। এই মজার মানুষটিকে স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা দারুণ পছন্দ করে। তারা তাঁকে আপনজনও মনে করে, কারণ তাদের সব সমস্যা অঙ্ক স্যার সমাধান করে দেন, ঘটনা-দুর্ঘটনায় অঙ্ক স্যার তাদের পাশে এসে দাঁড়ান।
স্কুলের হেড স্যার তাঁর কর্মকাণ্ডে মুগ্ধ হয়ে বলেন, আপনার নাম হাসান; আপনি ক্লাসেও হাসান, ক্লাসের বাইরেও হাসান।
তো, এই রকম একজন শিক্ষক থাকলে স্কুলকে আনন্দময় করে তুলতে আর কী লাগে?
লাগে। সব শিক্ষক যদি অঙ্ক স্যারের মতো হতো, কী যে মজা হতো!