“নাতাশা ও ডানপিটে নুসরাত” বইয়ের ফ্ল্যাপে লিখা
নুসরাত আর নাতাশা দুইবােন। আপন বােন নয়, চাচাতাে বােন। দু’বােনকে ঘিরে গড়ে উঠেছে ‘নাতাশা ও ডানপিটে নুসরাত’ নামের কিশাের উপন্যাসের প্রেক্ষাপট।
আদতে কিশাের উপন্যাস বললেও নুসরাত আর নাতাশা সদ্য কলেজের গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকেছে। তাই গল্পের মূল দুই চরিত্রকে আর কিশাের বলা যাচ্ছে না। কিন্তু এদের ডাকাবুকো সব কর্মকাণ্ড পড়লে নিশ্চিতভাবেই পাঠক ঢুকে যাবে সদ্য কলেজ পার হওয়া দুই চরিত্রের মনােজগতে।
কীভাবে ভীষণ ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েও আবার জীবনের স্রোতে ফিরে আসে নুসরাত, আর সেসময় পাশে থাকে নাতাশা তথা সবার আদরের নুসু। আর গল্পের দুর্দান্ত চরিত্র ছটকু তাে রয়েছেই। আজ কাজের লােককে স্কুলে ভর্তি করে দেওয়া, কাল বখাটেদের বাড়ি পুলিশ নিয়ে যাওয়ার সাহস দেখানাের মতাে কাজগুলােতে নুসরাত আর নাতাশার পাশে সব সময় ছিল ছুটকু।
নাতাশা ও ডানপিটে নুসরাত এই ঢাকা শহরে বেড়ে ওঠা শিশুদের মনােজগত ও চাওয়া-পাওয়ার এক চমৎকার সম্মিলন।
ফাতেমা আবেদীন নাজলা, গল্পকার।