জলনৌকার ভূমিকা থেকে নেয়া: হাজার মানুষ। হাজার মুখ। ক্লান্ত ব্যস্ত চলাফেরা। শেষ বিকেলের ম্লান হলদে রেখা যখন, নিজের ভেতর খুঁজে বেড়াচ্ছি। সদ্য ফোঁটা কদম ফুলের ছাঁট। কার্নিশ ঘেষে হাসনাহেনার গন্ধ। লিখলাম কিছু, টুকরো টুকরো ঘটনা, জীবনের ভেতর দিয়ে প্রতিবেশের পরিবর্তন। খণ্ড খণ্ড চিত্রে লেখা প্রতিদিনকার প্রকৃতি, ব্যক্তিগত বেদনা, রাজনীতি, আকাক্সক্ষা, অমোঘ ব্যর্থতাÑসবকিছুর ভেতর উর্ধ্বে তুলেছি আমাকে। ভাই-বোনের সম্পর্ক কিংবা ভালোবাসা প্রাধান্য পেয়েছে কোথাও কোথাও। কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রকাশে পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। আমি তো তেমনি এক মানুষের আগামী সকাল। পুনরাবৃত্তিই আমার প্রবৃত্তি! জানি না এগুলো আদৌ কিছু হয়েছে কিনা, দারুণ সংশয় আমার। সত্য বলতে কী, আমার ছোট্ট জীবনে এগুলো স্ন্যাপশর্টস! কিছু কিছু লেখা প্রকাশিত। এ লেখাগুলো চোখ রেখে শিহরিত হবেন; নিজের জীবনের সাথে মিলে যাবে। ছায়াময় অভিজ্ঞতার একঝলক- যা আজও মূল্যবান আমার কাছে। বন্ধুবর কবি প্রণব আচার্য্যরে সম্পাদনা ও শিশু একাডেমীর প্রাক্তন কর্মকর্তা হায়দরী সুলতানা রেজিনা আন্টির আগ্রহে এ বইটি প্রকাশ। ভাই রাশেদ হাসান ও আশিকুর রহমানের প্রেরণা ছিলো অনেক। তাছাড়া এ পাণ্ডুলিপি তৈরিতে ছড়াকার লীনা চৌধুরী, কবি রহমান হেনরী, শিক্ষাগবেষক রিফাত আফরোজ ও সহযোদ্ধা অভিনু কিবরিয়া ইসলামের পরামর্শকে স্বাগত জানাই।