পাখির বাসা সাজানাের প্রক্রিয়া দেখে আমার মনে হয়েছিল পৃথিবীর চারুশিল্পীরা যদি তাঁদের রংতুলি দিয়ে আঁকা ছবির ভেতরে কোলাজের সংমিশ্রণ ঘটাতে পারেন, বিভিন্ন রং ব্যবহার করে একটি বিমূর্ত ছবি একে যদি সেই ছবির গায়ে সেঁটে দেন পুরনাে রংচটা খবরের কাগজের একটি টুকরাে বা ইস্পাতের একটি ফলক বা কাঠের একটি খণ্ড বা লােহার শিকলের আংটা বা খােদ শিকলটিকেই এবং সেই শিল্প যদি শিল্পবােদ্ধাদের কাছে বাহবা পায়, তাহলে সাহিত্যেই বা কোলাজ হবে না কেন? সেই চিন্তার প্রতিফলন আমি আমার এই লেখাটিতে আনতে চেয়েছি। এ উপন্যাসটিকে অতএব একটি কোলাজ-উপন্যাস হিসেবে আমি আখ্যায়িত করতে চাই। যেখানে যা কিছু কুড়িয়ে পেয়েছি পাখির করিতকর্মা ঠোট দুটির মতাে জতমতাে বুনে তােলার চেষ্টা করেছি।