“দি আউটসাইডার’ উপন্যাসের নায়ক মারসঁ খুব অদ্ভুত মানুষ। মায়ের মুত্যু তাকে ব্যথিত করে না, শােকার্ত করে না, এমনকি বিচলিতও করে না বিন্দুমাত্র দাফন-কাফন শেষে পরদিন থেকেই সে তার দৈনন্দিন জীবনে ফিরে যায়। অফিস করে, বান্ধবী মেরির সঙ্গে সিনেমায় যায়, সমুদ্রে সাঁতার কাটে। রাতে মেরি থেকেও যায় মারসঁর ফ্ল্যাটে। মেরি তাকে ভালােবাসে, মারস ভালােবাসে না বলে জানায়, কারণ তার মতে ভালােবাসা গুরুত্বপূর্ণ কিছু নয়। তবে মেরি চাইলে সে তাকে বিয়ে করবে। বলেও জানিয়ে দেয়। এমনই বৈপরিত্যে ভরা এই নায়কের চরিত্র। এরকম নায়কেরা অ্যাবসার্ড নায়ক নামে পরিচিত বিশ্ব সাহিত্যের অঙ্গনে, যেখানে মার একজন বিখ্যাত অ্যাবসার্ড নায়ক এবং ‘দি আউটসাইডার একটি বিখ্যাত অ্যাবসার্ড উপন্যাস। যে উপন্যাসটি অস্তিত্ববাদ নামের দর্শনকে ধারণ করে। আছে এর গল্পের ভিতরে। গল্পে দেখা যায় মারসঁ একটি হত্যাকান্ড ঘটায় বিচারে তার মৃত্যুদন্ড হয় । কিন্তু তা সত্ত্বেও পাঠকের মনে মারর্সর জন্য থেকে যায় গভীর দরদ আর সহানুভূতি। এসব কথাই গল্পের পুরােটা জুড়ে পাঠককে রাখে মন্ত্রমুগ্ধ করে।