সমাজবিদ্যা আর সাহিত্যের সীমানা নিয়ে অনেকের যে দুর্ভাবনা আছে, তা আমার নেই। কিন্তু আছে রচনাশৈলী ও পদ্ধতি বিষয়ে বৃহত্তর সামাজিক অধ্যয়নে ক্রমাগত বৈশ্বিক কিছু পরিস্থিতির কারণে গুণগত চর্চার আকাল পড়ছে। তার মধ্যে বিশেষত বাংলাদেশে উন্নয়ন সংস্থার এজেন্ডায় এই শাস্ত্রগুলো ফরমায়েশী রচনা উৎপাদনের কারখানায় পরিণত হয়েছে। নৃবিজ্ঞান শাস্ত্র হিসেবে এর খোদ গ্রহীতা। ফরমায়েশ নিয়ে আমার অত অসুবিধা নেই। অনেক বেশি অসুবিধা রচনাশৈলী, বিষয়বস্তু ও পদ্ধতি নিয়ে এবং তা যেভাবে নির্ধারিত হয়ে উঠছে। প্রচলিত কথাসাহিত্যের ভঙ্গি ও রস সমাজবিদ্যা নিতে পারছে না কেবল উন্নয়ন সংস্থার ফরমায়েশের চাপে পড়েই নয়, বিদ্যায়তনে সামাজিক অধ্যয়নকারীদের দক্ষতা আর কল্পনার অভাবেও বটে। এই রচনাগুলো এসব গুরুতর ভাবনান মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা অনুশীলন।