“তেইল্যা চোরা” বইয়ের ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ
ফজর আলীকে ঘুম পাড়াতে পারছে না। মেঝেতে উপুড় হয়ে হাত দিয়ে মুখ চেপে ধরে আছে সে। তার বুক ফেটে কান্না আসছে। প্রফেসর ফজরের পিঠে হাত রাখলাে। জিজ্ঞেস করলাে, “কী হয়েছে। ফজর?” ফজর কুর্তার আস্তিন দিয়ে চোখ মুছে বলল, “স্যার আমি এইখানে থাকলে মইরা যামু।” “এইখানের খাওয়া-দাওয়া, পরিশ্রম সব একসময়। তােমার শরীর মানিয়ে নিবে।” “না স্যার, খাওনের কষ্ট সহ্য করতে পারুম, আমগাে জীবনে এর চেয়ে বেশি কষ্ট পাইয়া আইছি।” “তাহলে কী হয়েছে?”
“আমার পােলাডার চেহারা ভুইল্যা গেছি স্যার, মনে করতে পারি না। আমি আমার মজিদের চেহারা মনে করতে পারি না।” “আমি জানি তােমার কেমন লাগছে। প্রিয়জনদের চেহারা বেশিদিন মনে রাখা যায় না, মন ভুলিয়ে দেয়, যাতে চোখ বারবার তাদের দেখে সেজন্যই। তারা প্রিয়জন “স্যার আমি এইখান থেইক্যা পলাইয়া যামু।” । “সবাই আমাকে পাগল বলে, কিন্তু তুমি এখন। পাগলের মতাে কথা বলছাে। তেরােটা বুলেটের। কথা মনে আছে?” “মরণের ভয় নাই, এইখানে প্রত্যেকদিন মরি।”