দুষ্টু তূর্য দুরন্ত ইন্দ্র দস্যি রাব্বি আর মিসিং সাফিন

৳ 200.00

লেখক
প্রকাশক
আইএসবিএন
(ISBN)
9789845100854
ভাষা বাংলা
পৃষ্ঠার সংখ্যা ১০৪
সংস্কার 1st Published, 2020
দেশ বাংলাদেশ

দ্রুত স্কুলে চলে এলেন হেডস্যার। রাত দুটোর মতাে বাজে। তার রুমের শােকেসের লকটা খােলা। ভেতরে তাকিয়েই কিছুটা শব্দ করে বললেন, ‘সােনার দুটো মেডেল ছিল এখানে। এখন নেই!’ নেই!’ তৃর্য অবাক হয়ে বলল। বুক খালি করা একটা নিশ্বাস ছাড়লেন হেডস্যার, “মেডেল দুটো নিয়ে গেছে! ও দুটোর সঙ্গে আমাদের দুটো সাফল্য জড়িয়ে আছে। কিন্তু ও দুটো নিয়ে গেল কে? এর পর রুম থেকে বের হয়ে গেলইবা কীভাবে! রুমের দরজা তাে বন্ধ ছিল। মাথা গরম হয়ে উঠছে আমার। আর একটু গরম হয়ে উঠলে পাগল হয়ে যাব আমি, হিতাহিত জ্ঞান হারাব।’ স্যারকে সত্যি সত্যি এখন পাগলের মতাে লাগছে। কারণ তিনি যে পাঞ্জাবি পরে এসেছেন, তাড়াতাড়ি আসতে গিয়ে তা উল্টো করে পরে এসেছেন স্কুলে! বুকের ভেতর থেকে হাসি উগরে আসছিল তুর্য-ইন্দ্র-রাবিব-সাফিন — এই চার। বন্ধুর। কিন্তু স্যারের চেহারা দেখে মনে হচ্ছে, হাসা তাে দূরের কথা, সবাই মিলে চিকার করে। এখন কাঁদা উচিত তাদের। ঘটনার দুদিন পর গুরুত্বপূর্ণ একটা কাজে শ্মশান ঘাটে গিয়েছিল তূর্য, ইন্দ্র, রাবিব ও সাফিন। গভীর রাত। ভয়ংকর একটা জিনিস দেখে ভয়ে দৌড়ে আসছিল তারা। পেছন থেকে হঠাৎ সাফিন উধাও। কিছুক্ষণ পর রক্তমাখা তার জামা পাওয়া যায় পাশের এক রাস্তায়। আকাশ ভেঙে পড়ে তিনজনের মাথায়! সাফিন কি তাহলে ? না, তারা আর ভাবতে পারে না।

বর্তমান সময়ের তরুণ বাংলাদেশী লেখকদের তালিকা তৈরি করতে গেলে অনায়েসেই প্রথম সারিতে জায়গা করে নেবেন কথাসাহিত্যিক সুমন্ত আসলাম। তাঁর জন্ম সিরাজগঞ্জ জেলায়, মা রওশনারা পারুল ও বাবা মরহুম সোহরাব আলী তালুকদার। স্ত্রী ফারজানা ঊর্মি আর মেয়ে সুমর্মীকে নিয়ে গড়ে উঠেছে এই লেখকের সংসার। সিরাজগঞ্জে বাড়ির পারিবারিক লাইব্রেরিতেই বই পড়ার হাতেখড়ি তার। সেই সূত্রে ছোটবেলা থেকেই বই পড়ার অভ্যাস গড়ে উঠলেও লেখালেখির শুরু ঢাকায় আসার পরে। ছোটগল্পের বই ‘স্বপ্নবেড়ি’ তাঁর প্রকাশিত প্রথম বই, যা প্রকাশনায় ছিল ‘সময় প্রকাশন’। লেখালেখির পাশাপাশি বর্তমানে তিনি কাজ করছেন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষিত করে তুলতে, চাইল্ড ড্রিম সোসাইটি নামের একটি সংগঠনে। এছাড়াও জড়িয়ে আছেন সাংবাদিকতা পেশার সাথে। পাঠক জনপ্রিয়তার দিক থেকে বিবেচনা করতে গেলে সুমন্ত আসলামের সেরা বই হিসেবে নাম উঠে আসবে ‘হয়তো কেউ এসেছিল’, ‘জানি না কখন’ বা ‘কে তুমি’ অথবা ‘যদি কখনো’ এর মতো জনপ্রিয় সব বই এর নাম । এছাড়াও ‘নীল এই যে আমি!’, ‘আমি আছি কাছাকাছি’, ‘অ্যালিয়ান’, ‘জানালার ওপাশে’, ‘রোল নাম্বার শূন্য’, ‘বীভৎস’, ‘কেউ একজন আসবে বলে’, ‘জিনিয়াস জিনিয়ান’, ‘কোনো কোনো একলা রাত এমন’, ‘তবুও তোমায় আমি’, ‘অনুভব’, ‘মিস্টার ৪২০’, ‘স্পর্শের বাইরে’, ‘ভালো থেকো ভালোবেসে’, ‘ডাঁটি ভাঙা চশমা রাফিদ’, ‘অযান্ত্রিক’, ‘জ্যোৎস্না নিমন্ত্রণ’, ‘প্রিয়ব্রতর ব্যক্তিগত পাপ’, ‘জ্যোৎস্না বিলাস’, ‘মহাকিপ্পন’, ‘তপুর চালাকি’, ‘আশ্চর্য তুমিও!’, ‘হাফ সার্কেল’, ‘কঞ্জুস’, ‘মাঝরাতে সে যখন একা’, ‘আই এম গুড ডু’, ‘আই সে দ্য সান’, ‘তুমি ছুঁয়ে যাও বৃষ্টি তবু’সহ আরো অনেক বই রয়েছে লেখক সুমন্ত আসলাম এর বই সমগ্র এর তালিকায়। এছাড়াও সিরিজ আকারে লিখেছেন ‘বাউন্ডুলে’ ও ‘পাঁচ গোয়েন্দা’র মতো জনপ্রিয় কিছু বই। বর্তমানে তরুণ প্রজন্মের কাছে, এমনকি একুশে বই মেলাতেও সুমন্ত আসলাম এর বই সমূহ এর ব্যাপক চাহিদা লক্ষ্য করা যায়। ভাষাগত সারল্য ও সাবলীলতা তাঁর জনপ্রিয়তার অন্যতম বড় কারণ। মানুষকে কেন্দ্র করে তাকে আবর্তিত করে যা যা আছে তা-ই মূলত তার লেখার বিষয়বস্তু।


বই সম্পর্কে কোন জিজ্ঞাসা বা মতামত থাকলে আমাদেরকে জানান
শেয়ার করুন

লেখকের অন্য বইসমূহ