দ্রুত স্কুলে চলে এলেন হেডস্যার। রাত দুটোর মতাে বাজে। তার রুমের শােকেসের লকটা খােলা। ভেতরে তাকিয়েই কিছুটা শব্দ করে বললেন, ‘সােনার দুটো মেডেল ছিল এখানে। এখন নেই!’ নেই!’ তৃর্য অবাক হয়ে বলল। বুক খালি করা একটা নিশ্বাস ছাড়লেন হেডস্যার, “মেডেল দুটো নিয়ে গেছে! ও দুটোর সঙ্গে আমাদের দুটো সাফল্য জড়িয়ে আছে। কিন্তু ও দুটো নিয়ে গেল কে? এর পর রুম থেকে বের হয়ে গেলইবা কীভাবে! রুমের দরজা তাে বন্ধ ছিল। মাথা গরম হয়ে উঠছে আমার। আর একটু গরম হয়ে উঠলে পাগল হয়ে যাব আমি, হিতাহিত জ্ঞান হারাব।’ স্যারকে সত্যি সত্যি এখন পাগলের মতাে লাগছে। কারণ তিনি যে পাঞ্জাবি পরে এসেছেন, তাড়াতাড়ি আসতে গিয়ে তা উল্টো করে পরে এসেছেন স্কুলে! বুকের ভেতর থেকে হাসি উগরে আসছিল তুর্য-ইন্দ্র-রাবিব-সাফিন — এই চার। বন্ধুর। কিন্তু স্যারের চেহারা দেখে মনে হচ্ছে, হাসা তাে দূরের কথা, সবাই মিলে চিকার করে। এখন কাঁদা উচিত তাদের। ঘটনার দুদিন পর গুরুত্বপূর্ণ একটা কাজে শ্মশান ঘাটে গিয়েছিল তূর্য, ইন্দ্র, রাবিব ও সাফিন। গভীর রাত। ভয়ংকর একটা জিনিস দেখে ভয়ে দৌড়ে আসছিল তারা। পেছন থেকে হঠাৎ সাফিন উধাও। কিছুক্ষণ পর রক্তমাখা তার জামা পাওয়া যায় পাশের এক রাস্তায়। আকাশ ভেঙে পড়ে তিনজনের মাথায়! সাফিন কি তাহলে ? না, তারা আর ভাবতে পারে না।