“আবোল তাবোল” বইটির ভূমিকা থেকে নেয়াঃ
সুকুমার রায়ের জন্ম হয় ১৮৮৭ সালে। তাঁর পিতা উপেন্দ্রকিশাের রায়, যার বহুমুখী প্রতিভার পরিচয় পাঠক তাঁর গানে, লেখায় এবং ছবিতে পেয়েছে। তাঁর ছেলে সত্যজিৎ রায়, যার পরিচয় নতুন করে দেয়ার কিছু নেই। এক কথায় বলা যায় পর পর তিনপুরুষ বাংলাসাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছেন এমন নজির অদ্বিতীয়। এ যেন বিস্ময়কর এক যােগসূত্র।
সুকুমার রায়ের স্কুল ও কলেজের শিক্ষা হয় কলকাতাতেই। শিবনাথ শাস্ত্রীপ্রতিষ্ঠিত মুকুল পত্রিকায় প্রকাশিত দুটি বাল্যরচনা ছাড়া ছাত্রাবস্থায় সুকুমারের সাহিত্য-রচনার কোনাে নজির পাওয়া যায় না। ননসেন্স শিশুসাহিত্যে তিনি অতুলনীয়। বলা যায় ধারে কাছে কেউ নেই। কলেজ ছাড়ার কিছুদিনের মধ্যে প্রতিষ্ঠা করেন ননসেন্স ক্লাব। তাঁর সাহিত্যের মূল ধারাটি কোনদিকে প্রবাহিত হবে তার ইঙ্গিত ক্লাবের নামকরণ থেকেইে বােঝা গিয়েছিল।
অল্প বয়সে পরপারে চলে যান এই গুণী শিশুসাহিত্যিক। কিন্তু বাংলা সাহিত্যকে অতি অল্পসময়ে তিনি যা দিতে পেরেছেন তা সত্যিই বিস্ময়কর। তার সৃষ্টি যুগ যুগ ধরে পাঠকের হৃদয়ে থেকে যাবে- এটি আর বলার অপেক্ষা রাখে না।