পুঞ্জ প্রেমের ঘনীভূত রূপ নয়, সহজ প্রকাশের ব্যঞ্জনায় সজল আহমেদের কবিতা যে একটি বিশেষ দক্ষতা নিয়ে পাঠকচিত্তকে গ্রাস করার ক্ষমতা রাখে, ‘আগুন জ্বেলে যাই’ কাব্যগ্রন্থের অনেক কবিতাতেই তার আভাস মেলে। বর্তমান সময়ের কবি হওয়া সত্ত্বেও তার কবিতার শিকড়-সংলগ্নতা অন্যদের চেয়ে তাকে ভিন্নতর করে তুলেছে। মূলত তার কবিতা প্রেমের বহুমাত্রিক ব্যঞ্জনায় হৃদ্য। বেশির ভাগ কবিতাই হ্রস্ব-আকারে রচিত। কিন্তু তারই মধ্য দিয়ে তার অনুভূতি এমন এক নিপুণ ভাষায় প্রকাশিত হয়, যাতে শিল্পসৌন্দর্যের সঙ্গে অন্তর্কথনের একটি বিস্তৃত জগৎ উন্মোচিত হয়ে যায়। সজলের সব কবিতাই যে প্রেমভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত তা নয়, অন্য ধরনের কবিতা নির্মাণেও তিনি দক্ষ কারিগর। উপমা ও রূপকের সূক্ষ্ম ব্যবহারে তার কবিতা ভিন্ন মাত্রায় অন্তর্ভেদী। ‘আগুন জ্বেলে যাই’ কাব্যগ্রন্থে সজল আহমেদ তার ব্যক্তিগত অনুভূতিকে যতটা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করেছেন, সমষ্টিগত অনুভূতিকে ততটা নয়, যদিও বাংলা কবিতায় এরকম দৃষ্টান্ত অপ্রতুল নয়। তাই তার কবিতাকে বলা চলে সেই ধারাবাহিকতারই উত্তরসূরী। সেজন্যে তার কবিতা আপাতসরল হয়েও হয়ে উঠেছে গূঢ় আন্তরসঞ্চারী। সজল আহমেদের কাব্যবৈশিষ্ট্যের নতুনত্ব এখানেই। অসীম সাহা