সহজ অথচ গভীর অর্থবোধক শব্দ ও চিত্রকল্পে তিনি পাঠক মনে অভিঘাত সৃষ্টিতে সক্ষম। তার কবিতায় যুগপৎ প্রেম ও বিরহের যে মেলবন্ধন, তা রোমান্টিকতার সাক্ষ্যবাহী। প্রাকৃতিক অধরা সৌন্দর্যালোক ও ব্যক্তিচেতনালোক দুই-ই রোমান্টিসিজমের মূল আলেখ্য। ব্যক্তিক আবেগরাশি, প্রধান-অপ্রধান বেদনারাশি, কামনাবাসনা, বিশ্বাস-ধারণা প্রভৃতি দৈনন্দিন মানবিক অভিলাষ প্রাচীন ও মধ্যযুগীয় রোমান্টিকতার জগতকে শাসন করত। কিন্তু কালের বিবর্তন সেই কাঠোমোতে পরিবর্তন এনেছে। কবিতার নান্দনিক লক্ষ্যও এখন যেন বিপরীতমুখি। অস্বীকার করা যায় না, এই বিবর্তনের মূলে রয়েছে নাগরিক বিধ্বস্ত জীবনের চরম আগ্রাসন। যা জন্ম দিয়েছে এক ধরনের হাহাকারবোধের। এতে পাল্টে গেছে আধুনিক কবিতার রোমান্টিকতার আবহ, চিত্রকল্প। মামুন রশীদের কবিতায়ও চিত্রকল্প এসেছে হাহাকারের জারন-বিজারণে।