নগরভিত্তিক সমাজের বিকাশ ঘটছে দ্রুতলয়ে। পুঁজির বিকাশ ঘটছে। পুঁজির দাপটে অনেক কিছুই দুমড়ে-মুচড়ে যাচ্ছে। সুন্দরবনের গাছ ও পাতা নির্ভর ঘরগুলোর পরিবর্তে ইট ও টিনের ঘর, যাতায়াতের রাস্তা, মুহূর্তে যোগাযোগের জন্যে হাতে রাখা ফোন প্রভৃতি বন-সংলগ্ন সহজ-স্বাভাবিক মানুষগুলোকে বদলে দিচ্ছে। গ্রামীণ জীবনের পাশাপাশি দুনিয়াজুড়েও অনেক বদল হয়েছে। নতুন আপদ হিসেবে দেখা দিয়েছে কার্বন ও কার্বন-আশ্রিত নানান গ্যাস। বাতাসে এই গ্যাসের উপস্থিতি ভয়াবহরকমভাবে বাড়ছে। সুন্দরবন তো কার্বনের বিশাল আধার। একারণে এই সুন্দরবনকে নিয়ে ব্যবসা করারও নতুন চিন্তার উদয় হয়েছে বিশ্ব-বাণিজ্যের হোতাদের। সুন্দরবন কি পরিমাণ কার্বন ধরে রাখতে পারে ইতিমধ্যে তার জরিপও হয়েছে। কার্বন ব্যবসায় ভাটা না পরলে হয়তো এতদিনে সুন্দরবনও কার্বন-বাণিজ্যের অংশিদার হয়ে উঠত।
উল্লিখিত বিবিধ বিষয়গুলো নিয়েই বেশ কয়েকটি স্বতন্ত্র লেখা গ্রন্থিত হয়েছে এই বইটিতে।