“তৃষিতা” বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা:
’তৃষিতা’ উপন্যাসটি লেখকের ছাত্রজীবন অবস্থায় লেখা এমন একটি রােমান্টিক উপন্যাস যখন জীবনের নিষ্ঠুর বাস্তবতা মানুষকে সেভাবে তাড়া করতে শুরু করেনি। সময়কাল খুব সম্ভব ১৯৬৫-৬৬, সেটা ছিল এমন এক সময় যখন অখণ্ড পাকিস্তান দেশটিকে আমরা ধরে নিয়েছিলাম আমাদের অজন্ম আবাসভূমি, কেননা মাত্রই পনেরাে বছর আগে পূর্বপাকিস্তান দেশটির অস্তিত্ব পৃথিবীর ম্যাপে স্থান পেয়েছিল মুসলমানদের আবাসভূমি হিসাবে। ইতিহাসের তদানীন্তন বাস্তবতায় সেই পরিপ্রেক্ষিত বিবেচনায় এনে রচিত হচ্ছিল পূর্ব পাকিস্তানের শিল্প ও সাহিত্যের আধুনিক মানসভুবন। সেই সাথে ক্ৰমজাগ্রত বাঙালি চেতনা পাক তমদুন মজলিশের সান্নিধ্য এড়িয়ে চলছিল বড় সতর্কতার সঙ্গে। তখনও বঙ্গবন্ধুর ছয়দফা আমাদের নিজস্ব অস্তিত্বকে সুদৃঢ় বিশ্বাসভূমিতে স্থাপিত করবার অবকাশ পায়নি। সুতরাং এই উপন্যাসটিকে পাকিস্তান আমলের একটি রচনা হিসাবে ধরতে হবে। এবং তখনকার পূর্ববাংলার নারী মানসিকতার সাহসী ক্ৰম-উত্তরণকে উপলব্ধি করবার একটি সূত্র বলে শনাক্ত করা যেতে পারে।