“সীরাতুন নবি (সা:) বিশুদ্ধ হাদীসের ভিত্তিতে নবি-জীবনের গ্রন্থনা জন্ম থেকে হিজরত-১”
অনুবাদকের কথা
সকল প্রশংসা আল্লাহর শান্তি ও করুণা বর্ষিত হোক তাঁর রাসূল মুহাম্মাদ -এর উপর। পৃথিবীতে নবি-রাসূল প্রেরণের অন্যতম উদ্দেশ্য হলো—মানুষ যেন তাঁদের আনুগত্য করে। —(আন-নিসা ৪:৬৪) সকল নবি-রাসূল -এর ক্ষেত্রে এ কথা প্রযোজ্য হলেও, মুহাম্মাদ -এর ক্ষেত্রে এটি আরও বেশি কার্যকর; কারণ অন্যান্য নবি-কে দেওয়া শারীআর অনেক কিছুই স্থান-কালে আবদ্ধ, পক্ষান্তরে মুহাম্মাদ -এর শারীআ স্থায়ী, সর্বত্র ও সকল মানুষের জন্য প্রযোজ্য। “বুলে দাও—লোকসকল! আমি তোমাদের সবার নিকট আল্লাহর বার্তাবাহক।” (আল-আরাফ ৭:১৫৮) “আমি তোমাকে সকল মানুষের জন্যই প্রেরণ করেছি।” -(সাবা ৩৪:২৮) যাঁরা আল্লাহর সন্তুষ্টি ও পরকালীন মুক্তি চায়, তাঁদের জন্য আল্লাহর রাসূল স্ট-এর জীবনে রয়েছে। সর্বোত্তম আদর্শ।—(আল-আহ্যাব ৩৩:২১)।
ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনের সকল অঙ্গনে ইসলামকে একটি বিজয়ী জীবনব্যবস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে, নবি ই দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছেন। সেদিন থেকে আজকের সময় পর্যন্ত, বিজয়ী দ্বীন হিসেবে ইসলামের সুদীর্ঘ ইতিহাসে দু-বার বড় রকমের ছেদ পড়েছে; প্রথম ছেদটি পড়েছে খৃষ্টীয় ত্রয়োদশ শতাব্দীতে, মঙ্গোলিয়ানদের হাতে মুসলিম সাম্রাজ্য তছনছ হয়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে। বিজয়ী দ্বীন তখন সমাজ ও রাষ্ট্রের বৃহত্তর পরিমণ্ডল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে, ব্যক্তিজীবনের ক্ষুদ্র পরিসরে আশ্রয় নিয়ে কোনোরকমে টিকে থাকে। ঠিক সে সময়ই ইবনু তাইমিয়া, ইবনু কাইয়িম জাওযিয়্যা, ইবনু কাসীর ও যাহাবি (আল্লাহ তাঁদের সকলের উপর রহম করুন!) সহ আরও কিছু নিবেদিতপ্রাণ আল্লাহর বান্দার নিরলস পরিশ্রমের ফলে উম্মাহর মধ্যে আবার পুনর্জাগরণ দেখা দেয়। তারপর দ্বিতীয় আঘাতটি আসে খৃষ্টীয় অষ্টাদশ শতকে, ইউরোপীয় উপনিবেশবাদের আকৃতিতে। এবারের আঘাতে মুসলিমদের ঘরবাড়ির ভৌতিক কাঠামো ততোটা ক্ষতিগ্রস্থ না হলেও, পূর্ণাঙ্গ দ্বীন হিসেবে ইসলামের স্বকীয়তা একেবারে ম্লান হয়ে পড়ে। ইসলামের সর্বব্যাপী রূপ সমাজ-রাষ্ট্রের বলয় থেকে বিতাড়িত হয়ে, প্রথমে কিছুদিন ব্যক্তিজীবনের সংকীর্ণ রিমন্ডলে ঠাঁই নেয়। তারপর ধীরে ধীরে গণমানুষের ব্যক্তিজীবন থেকেও বিচ্ছিন্ন হয়ে ইসলাম পরিণত হয় এক অদৃশ্য-অস্পৃশ্য দর্শনে। আর ব্যক্তি-সমাজ-রাষ্ট্রের বৃহত্তর পরিধিতে সৃষ্ট শূন্যতায় তড়িঘড়ি করে জায়গা করে নেয় জাহিলিয়াত।
জাহিলিয়াতে ভরপুর একটি সমাজে ইসলামের প্রাণচাঞ্চল্য সৃষ্টি করতে চাইলে, নবি -এর সীরাত বা জীবনচরিতই হলো সর্বোত্তম আদর্শ। নবি -কে যে জাহিলি সমাজের মোকাবেলা করতে হয়েছিল, বর্তমানকালে ইসলামকে তার স্বস্থানে ফিরিয়ে আনতে গেলে, আমাদেরকেও একই জাহিলিয়াতের মুখোমুখি হতে হবে। এ কারণে সীরাতের প্রয়োজনীয়তা সর্বজনীন হলেও, ইতিহাসের যে কোনও যুগের তুলনায় বর্তমান সময়ে এর প্রয়োজনীয়তা বহুগুণে বেড়ে গিয়েছে।
নবি এ-এর ইন্তেকালের অব্যবহিত পর থেকেই তাঁর জীবনেতিহাস সংরক্ষণের কাজ শুরু হয়েছে। দেড় সহস্রাব্দি যাবৎ তাঁর জীবনের উপর রচিত হয়েছে শতসহস্র গ্রন্থ। প্রাচ্যবিদ ডি.এস. মারগুলিয়াথ (D. S. Margoliouth) লিখেছেন, The biographers of the Prophet Mohammed form a long series which it is impossible to end, but in which it would be honourable to find a place. ‘নবি মুহাম্মাদ-এর জীবনীকারদের একটি দীর্ঘ সারি রয়েছে, যা কখনও শেষ হওয়ার নয়; তবে সেখানে স্থান পাওয়াটাই সম্মানের ব্যাপার। নবি -এর জীবনেতিহাস জানার বড় দুটি মাধ্যম হলো সিয়ার (জীবনচরিত ও যুদ্ধবিগ্রহ) ও হাদীসের গ্রন্থাবলি৷ সিয়ার ও মাগাযী বিষয়ক সাহাবি, আলি—প্রভৃতি শব্দে ব্যবহার করা হয়েছে হ্রস্ব ই-কার; কারণ মূল ভাষায় এসবের প্রত্যেকটির শেষে ‘ইয়া’ বর্ণ থাকলেও, তা মাদ বা দীর্ঘস্বরের ‘ইয়া সাকিন’ নয়। তবে যেসব ক্ষেত্রে আরবি বিশুদ্ধ বানান ও প্রচলিত বাংলা বানানের মধ্যে ব্যবধান অনেক বেশি, সেখানে এমন এক বানান ব্যবহার করা হয়েছে—যা মূল স্বরের কাছাকাছি, আবার বাংলা ভাষাভাষী লোকদের নিকট সম্পূর্ণ অপরিচিত নয়; যেমন বিশুদ্ধ আরবি বানান ‘ওয়াহইয়ু’ এবং প্রচলিত বাংলা বানান ‘অহি’–এর কোনোটি ব্যবহার না করে, ‘ওহি’ ব্যবহার করা হয়েছে। আমাদের বিশ্বাস, পাঠকের বোধগম্যতাকে সামনে রেখে আরবি শব্দাবলিকে প্রতিবর্ণীকরণের বিজ্ঞানসম্মত নীতিমালা প্রণয়ন করা হলে বর্তমান বানান-সংকট থেকে উত্তরণ সম্ভব। গ্রন্থটির অনুবাদ নির্ভুল রাখার জন্য সাধ্য মোতাবেক চেষ্টা করেছি। তারপরও কোনও সুহৃদ বোদ্ধা পাঠকের চোখে যে কোনও ভুল ধরা পড়লে, আমাদেরকে অবহিত করার বিনীত অনুরোধ রইলো।
পরিশেষে, আল্লাহ তাআলার নিকট প্রার্থনা, তিনি যেন আমাদের সামগ্রিক জীবন নবি -এর আলোকিত সীরাতের আলোকে ঢেলে সাজানোর তাওফীক দান করেন।
আমীন!
রবের রহমত প্রত্যাশী জিয়াউর রহমান মুন্সী
[email protected]
সীরাতুন নবি (সা:) -২
সীরাত বা নবি-জীবন কোনও অবসর সময়ের বিনোদন নয়, নয় আরামকেদারায় হেলান দিয়ে পড়ার কোনও গল্প-সাহিত্য; বরং অনুকরণ ও আনুগত্যই হলো তার কাঙ্ক্ষিত উপযোগ। বিশুদ্ধতা ও প্রামাণিকতা ছাড়া সীরাত থেকে এ উপযোগ লাভ করা অত্যন্ত দুরূহ।
এ উপযোগকে সামনে রেখে মুহাদ্দিস ইবরাহীম আলি ‘সহীহুস সীরাতিন নাবাবিয়্যাহ্’ নামে একটি অনন্য সীরাত সংকলন করেছেন। আল্লাহর রহমতের উপর ভরসা করে, আমরা বইটির বাংলা অনুবাদ চার খণ্ডে প্রকাশ করার উদ্যোগ নিয়েছি। গত পাঁচ মাস আগে আল্লাহ তাআলার অশেষ অনুগ্রহে ‘সীরাতুন নবি সাঃ)১’ প্রকাশিত হওয়ার পাঁচ মাসের মধ্যে এখন ‘সীরাতুন নবি সাঃ)২’ প্রকাশিত হলো। আলহামদু লিল্লাহ! অতি শীঘ্রই ‘সীরাতুন নবি সাঃ)৩’ ও ‘সীরাতুন নবি সাঃ)৪’ প্রকাশিত হবে, ইন শা আল্লাহ।
দেড় সহস্রাব্দি জুড়ে রচিত অসংখ্য সীরাত গ্রন্থের মধ্যে মুহাদ্দিস ইবরাহীম আলি কর্তৃক সংকলিত ‘সহীহুস সীরাতিন নাবাবিয়্যাহ্’ গ্রন্থটির অনন্য বৈশিষ্ট্য হলো—এখানে লেখকের নিজের বিবরণীতে সীরাত পেশ করা হয়নি; বরং সীরাতের বিবরণী সম্বলিত বিশুদ্ধ হাদীসসমূহকে একের পর এক লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। এদিক থেকে এটি মূলত একটি বিশুদ্ধ হাদীস-সংকলন মাত্র।
লেখকের নিজস্ব বিবরণীতে সীরাত তুলে না ধরার কারণে হয়তো গতানুগতিক সীরাত গ্রন্থাবলির আমেজ এ গ্রন্থে কিছুটা অনুপস্থিত; কিন্তু অনুসন্ধানী পাঠকের জন্য বিবরণীর গতিশীলতার চেয়ে প্রামাণিকতা অনেক বেশি প্রয়োজন। ঐতিহাসিক সকল ঘটনার ক্ষেত্রে এ নীতিটি সমানভাবে কার্যকর হলেও, মুহাম্মাদ সাঃ)-এর জীবনেতিহাসের ক্ষেত্রে এটি সবচেয়ে বেশি প্রযোজ্য; কারণ, আল্লাহ ও পরকাল-প্রত্যাশী লোকদের জন্য আল্লাহর রাসূল সাঃ)-এর জীবনই হলো সর্বোত্তম আদর্শ; আর অনুকরণীয় আদর্শের উৎস হওয়া চাই শক্তিশালী, প্রামাণ্য ও নির্ভরযোগ্য।
‘সীরাতুন নবি সাঃ)১’-এ স্থান পেয়েছে নবি সাঃ)-এর জন্মের আগ থেকে শুরু করে মদীনায় হিজরত পর্যন্ত সময়কার ঘটনাপ্রবাহ। আর হিজরতের পর থেকে খন্দক যুদ্ধ পর্যন্ত সময়কার ঘটনাবলি স্থান পেয়েছে ‘সীরাতুন নবি সাঃ)২’-এ। এ খণ্ডে অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি যেসব বিষয় অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে আলোচিত হয়েছে, তা হলো: নবি সাঃ)-এর মদীনায় আগমন, মাসজিদে নববি’র নির্মাণ, মদীনা সনদের মূলপাঠ, সনদটির প্রামাণিকতা নিয়ে অনুপুঙ্খ বিশ্লেষণ, বদর যুদ্ধের আগের বেশ কয়েকটি অভিযান, জেরুজালেম থেকে মক্কার দিকে কিবলা পরিবর্তন, বদর যুদ্ধের নেপথ্য কারণ ও যুদ্ধের বিশদ বিবরণ, উহুদ যুদ্ধের বিস্তারিত আলোচনা, মদীনার ইয়াহূদিদের ধূর্তামির মোকাবিলা, আরবের বিভিন্ন গোত্রের প্রতারণা, উহুদ ও বানুল মুস্তালিক যুদ্ধের পর মুনাফিকদের নানা উৎপাত এবং ধৈর্য ও প্রজ্ঞার সাথে সেসব পরিস্থিতির মোকাবিলা।
এসব বিবরণ থেকে আবারও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে—নবি-জীবন কোনও কল্পলোকের প্রশান্ত ঘটনাপ্রবাহের নাম নয়, এ হলো মানুষের বাস্তব জীবনে প্রতিদিন ঘটে-চলা ও ঘটিতব্য বিভিন্ন ঘটনার একটি আদর্শ রূপ মাত্র। তাগূতকে হটিয়ে ওহির প্রাধান্য কার্যকর করতে গেলে, যে কোনও সমাজে প্রায় একই দৃশ্য মঞ্চস্থ হবে, যা হয়েছিল দেড় হাজার বছর আগে মধ্যপ্রাচ্যের আরব সমাজে; দৃশ্যপটে কেবল কিছু নামের পরিবর্তন সহ কিছু ছোটোখাটো পার্থক্য দেখা দিতে পারে–এই যা!
সীরাত হয়ে উঠুক আমাদের প্রতিদিনের পথচলার আলোকবর্তিকা! আমীন!
“সীরাতুন নবি (সা:) বিশুদ্ধ হাদীসের ভিত্তিতে নবি-জীবনের গ্রন্থনা-৩ (খন্দক থেকে মূতা)” বইটিতে লেখা অনুবাদকের কথা: সকল প্রশংসা আল্লাহর শান্তি ও করুণা বর্ষিত হোক তাঁর রাসূল মুহাম্মাদ -এর উপর।
দেড় সহস্রাব্দি জুড়ে রচিত অসংখ্য সীরাত গ্রন্থের মধ্যে মুহাদ্দিস ইবরাহীম আলি কর্তৃক সংকলিত ‘সহীহুস সীরাতিন নাবাবিয়্যাহ্’ গ্রন্থটির অনন্য বৈশিষ্ট্য হলো—এখানে লেখকের নিজের বিবরণীতে সীরাত পেশ করা হয়নি; বরং সীরাতের বিবরণী সম্বলিত বিশুদ্ধ হাদীসসমূহকে একের। পর এক উল্লেখ করা হয়েছে। এদিক থেকে এটি মূলত একটি বিশুদ্ধ হাদীস-সংকলন মাত্রা।
লেখকের নিজস্ব বিবরণীতে সীরাত পেশ না করে, প্রত্যক্ষদর্শী সাহাবিদের ভাষ্য হুবহু তুলে ধরায়, একদিকে ঘটনাবলি হয়ে উঠেছে আশ্চর্য রকমের জীবন্ত, অপরদিকে পাঠকবর্গও হতে পারছেন নিঃসংশয়; কারণ, লেখক নিজে থেকে ধারাভাষ্য দিলে, নবি ও সাহাবিদের বক্তব্য হুবহু এমন ছিল কি না—এ নিয়ে পাঠকের মনে একটি সংশয় থেকেই যায়। পেছনে ঘটে যাওয়া ঘটনার ক্ষেত্রে প্রামাণিকতা জরুরি। ঐতিহাসিক সকল ঘটনার ক্ষেত্রে এ নীতিটি সমানভাবে কার্যকর হলেও, মুহাম্মাদ -এর জীবনেতিহাসের ক্ষেত্রে এটি সবচেয়ে বেশি প্রযোজ্য; কারণ, আল্লাহ ও পরকাল-প্রত্যাশী লোকদের জন্য আল্লাহর রাসূল -এর জীবনই হলো সর্বোত্তম আদর্শ; আর অনুকরণীয় আদর্শের উৎস হওয়া চাই শক্তিশালী, প্রামাণ্য ও নির্ভরযোগ্য। মুহাদ্দিস ইবরাহীম আলি কর্তৃক সংকলিত ‘সহীহুস সীরাতিন নাবাবিয়্যাহ্’ নামক গ্রন্থটিকে আমরা বাংলা অনুবাদে চার খণ্ডে প্রকাশ করার উদ্যোগ নিয়েছি। গত বছর রবিউল আউয়াল মাসে এর প্রথম খণ্ড প্রকাশিত হয়, যেখানে স্থান পেয়েছে নবি ৯-এর জন্মের আগ থেকে শুরু করে মদীনায় হিজরত পর্যন্ত সময়কার ঘটনাপ্রবাহ৷ গত রমাদান মাসে প্রকাশিত হয় এর দ্বিতীয় খণ্ড, যেখানে হিজরতের পর থেকে খন্দক যুদ্ধ পর্যন্ত সময়কার ঘটনাবলি স্থান পেয়েছে।
আলহামদু লিল্লাহ, এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে প্রকাশিত হলো গ্রন্থটির তৃতীয় খণ্ড। এ খণ্ডের পরিধি খন্দক বা আহাব যুদ্ধ থেকে নিয়ে মূহা যুদ্ধ পর্যন্ত সময়কাল। এতে অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি যেসব বিষয় অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে আলোচিত হয়েছে, তা হলো: আহ্যাব যুদ্ধের নেপথ্য কারণ, এ যুদ্ধে নবি -এর অলৌকিক ঘটনাবলি, বান্ কুরাইযাকে কঠিন শাস্তি দেওয়ার কারণ, হুদাইবিয়ার অভিযান, সন্ধির শর্তাবলি ও দফাসমূহ, চুক্তি পালনে নবি -এর আন্তরিকতা, খাইবার যুদ্ধ, আত্মসাতের বিভীষিকা এবং বিভিন্ন সম্রাট ও শাসকের উদ্দেশে নবি -এর চিঠিপত্র।
এসব বিবরণ থেকে আবারও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে—নবি-জীবন কোনও কল্পলোকের প্রশান্ত ঘটনাপ্রবাহের নাম নয়, এ হলো মানুষের বাস্তব জীবনে প্রতিদিন ঘটে-চলা ও ঘটিতব্য বিভিন্ন ঘটনার একটি আদর্শ রূপ মাত্র। ব্যক্তি-সমাজ-রাষ্ট্রের সকল ক্ষেত্রে সীরাত হয়ে উঠুক আমাদের প্রতিদিনের পথচলার আলোকবর্তিকা! আমীন!
জিয়াউর রহমান মুন্সী
২৫ সফর ১৪৪০ হিজরি/ ৪ নভেম্বর ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দ
[email protected]
সীরাতুন নবি সা.-৪
সীরাতুন নবি সা.-৪ শেষ খণ্ডে মূতা যুদ্ধ থেকে মক্কা-বিজয়, নবীজি (সা.) এর ইন্তেকালের পূর্ববর্তী ও পরবর্তী ঘটনা লিপিবদ্ধ হয়েছে।