ন্যানো স্পর্শ

৳ 150.00

লেখক
প্রকাশক
ভাষা বাংলা
সংস্কার 1st Published, 2010
দেশ বাংলাদেশ

বেলা শেষে মৃদু হেসে রোদ গেছে দূরে, পারদের মতো ঢের এলোমেলো সুরে- হেঁটে যাই যেতে চাই বহুদূর দেশে, কোনো বীর পৃথিবীর যায়নি সে শেষে! পৃথিবীর যেথা শেষ, সেথা এক মেয়ে- সাধারণ, সাদামাটা এ কবিকে পেয়ে হাত দুটো হাতে রেখে বলবে, “ও প্রিয়, এ আঁধারে হৃদয়ের দ্যুতিটুকু দিও।” থেমে যাবে পৃথিবীর কোলাহল সব, অনুভবে শুধু রবে প্রাণ-কলরব! আসিফ মেহ্‌দী ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট খোলেন ২০০৮ সালে। তারপর থেকে স্ট্যাটাস হিসেবে ফেসবুকে পোস্ট করতে থাকেন ছোট-বড় ছড়া-কবিতা। প্রাত্যহিক জীবনে ঘটে যাওয়া ছোট-বড় সব ঘটনা নিয়ে স্ট্যাটাসগুলো পোস্ট করেন বলে এই ছড়া-কবিতাগুলো আসলে মানবজীবন ও জগৎসংসারের প্রতিচ্ছবি। আসিফ মেহ্‌দী এগুলোর নাম দিয়েছেন ‘ন্যানো কাব্য’। জীবনের নানা প্রহরে সুখ-দুঃখ আর হাসি-কান্নার মিশেলে যে ছোট ছোট অনুভূতিগুলো আমাদের কাছে ধরা দেয়, সেসব অনুভূতিই ফুটে ওঠে তাঁর লেখা ন্যানো কাব্যে। ভিন্নধর্মী কাব্যধারার সূচনাকারী এই ন্যানো কাব্যের জনককে পাঠকভক্তরা ভালোবেসে ডাকেন ‘ন্যানো কবি’। ন্যানো কবির ভাষায়, “ন্যানো মুহূর্তের আবেগের স্ফুরণই ন্যানো কাব্য। এই স্ফুরণের প্রকাশ ঘটতে পারে দুই লাইনে; আবার ঘটতে পারে বিশ লাইনে। অর্থাৎ ন্যানো কাব্য ছোট-মাঝারি-বড় বিভিন্ন আকৃতির হতে পারে; তবে ন্যানো কাব্যে যে অনুভূতি ছন্দাকারে প্রকাশ করা হয়, তা জীবনে চলার পথে হঠাৎ পাওয়া কোনো উপলব্ধি-ন্যানো মুহূর্তের উপলব্ধি।”

সাহিত্যের প্রতি আসিফ মেহ্‌দীর ঝোঁক ছাত্রজীবন থেকেই। দেশসেরা দুই ফান ম্যাগাজিন ‘উন্মাদ’ ও ‘রস+আলো’তে লেখার সুবাদে রম্যলেখক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিলেন আগেই। সেই সূত্রে প্রথম বইটাও রম্যগল্পের। ‘বেতাল রম্য’ নামের সেই বইয়েই আসিফ মেহ্‌দী লাভ করেন তুঙ্গস্পর্শী জনপ্রিয়তা। এরপর একে একে প্রকাশিত তাঁর প্রতিটি বই শুধু পাঠকপ্রিয়তাই লাভ করেনি, উঠে এসেছে বেস্ট সেলার বইয়ের তালিকায়। সাম্প্রতিক সময়ে লিখছেন দেশসেরা কিশোর ম্যাগাজিন ‘কিশোর আলো’তে। ব্যঙ্গ আর হাসির সঙ্গে গভীর জীবনবোধের প্রতিফলন ঘটিয়েই আসিফ মেহ্‌দী এ সময়ের জনপ্রিয় লেখকদের কাতারে নিজের অবস্থানটা বেশ পাকাপোক্ত করে ফেলেছেন।

এসএসসি ও এইচএসসি দুই পরীক্ষাতেই ঢাকা বোর্ডে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্ট্যান্ড করেছেন আসিফ মেহ্‌দী। বুয়েট-এ ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশোনা করেছেন। ৩৩তম বিসিএস পরীক্ষায় নিজ ক্যাডারে ১ম স্থান অধিকার করে বর্তমানে বাংলাদেশ বেতারের গবেষণা ও গ্রহণ কেন্দ্রে সহকারী বেতার প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর সহধর্মিনী মৌবীণা জ্যাকলিন বারি পেশায় ডাক্তার।


বই সম্পর্কে কোন জিজ্ঞাসা বা মতামত থাকলে আমাদেরকে জানান
শেয়ার করুন

লেখকের অন্য বইসমূহ