সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বপ্ন দেখেছিলেন একটি স্বাধীন দেশের, একটি স্বাধীন পতাকার। তিনি সে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছিলেন। বাঙালি জাতিকে একটি স্বাধীন দেশ ও একটি স্বাধীন পতাকা এনে দিয়েছিলেন। পৃথিবীর মানচিত্রে ঠাঁই পেয়েছিল বাংলাদেশ নামক একটি রাষ্ট্র। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ হঠাৎ করেই শুরু হয়নি। এর পটভূমি তৈরি হয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। হাজার বছর ধরে বাঙালি জনগোষ্ঠী সমাজ ও সংস্কৃতির পরিমণ্ডলে টিকে থাকলেও একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশের নাগরিক হওয়ার স্বপ্ন দেখতে শুরু করে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের পর থেকেই। তবে ভাষা আন্দোলন প্রকৃতপক্ষে শুরু হয়েছিল ১৯৪৮ থেকেই। উর্দুকে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হিসেবে চাপিয়ে দিতে জিন্নাহর চেষ্টার প্রতিক্রিয়া হিসেবে রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন দানা বাঁধে।
স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রীয়ভাবে বাংলাদেশের “জাতির পিতা” হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। ২০১৯ সালের ১৬ আগস্ট জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে তাকে ‘বিশ্ব বন্ধু’ (ফ্রেন্ড অব দ্য ওয়ার্ল্ড) হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়।
“বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০০ ভাষণ” গ্রন্থটি মূলত এদেশের সকল রাজনৈতিক দল, ছাত্রসংগঠন এবং আপামর জনসাধারণের জন্য গ্রন্থিত হলো। তিনি তাঁর সারাটি জীবন অতিবাহিত করেছেন বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য। তিনি একদিনের জন্যও ঘরে বসে থাকেননি- হয় তিনি জেলখানায়, নাহলে কোনো সমাবেশে বক্তৃতা করছেন। তাঁর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। এছাড়াও তাঁর অসংখ্য ভাষণ বাঙালি জাতির অনুপ্রেরণা। বাঙালি জাতির দিকনির্দেশনা। এ জন্যই এই মহান নেতার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর ১০০ ভাষণ গ্রন্থভুক্ত হলো। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এই মহামূল্যবান গ্রন্থটি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।