“অজীবন” বইয়ের ফ্ল্যাপে লিখা
বাইরে থেকে দেখা জীবনের ভেতরেও জীবন থাকে।
সাগরের তলদেশের মতাে সে জীবনের গল্পে সবসময় আলাে ফেলা হয় না। নুড়ি পাথরের মতাে জমতে থাকে অপ্রকাশ্য লেনদেনের হিসেব।
বাবাকে একা ফেলে জন্মদাত্রীকে অন্য পুরুষের সঙ্গে চলে যেতে দেখা শিপ্রা জীবনটাকে অন্যভাবে গড়তে চেয়েছিল। যেখানে পরাজয় বলে কিছু থাকবে না।
কখনাে মেধা, কখনাে শ্রম, কখনাে কেবল শরীরটাকে অবলম্বন করে এগিয়ে যায়; একাকী একা।
এর মাঝেই টুপ করে ভালােবাসার বৃষ্টি নামে। তা স্থায়ী হয় না।
মনের দাবি মুখ্য, নাকি শরীরের কৌশল-উত্তর খুঁজতে গিয়ে হোঁচট খেতে হয় প্রতিনিয়ত। তবু থেমে থাকে না।
দিনশেষে নিজেকে বিজয়ী দেখার বাসনায় কত পুরুষের কাছে সঁপে দেয় নিজেকে!
তবুও কি জয়ী হতে পারে?
এভাবে যাপিত জীবনকে কি ঠিক ‘জীবন’ বলা যায়?
নাকি এটাই-অজীবন!