ইসলাম ও শিল্পকলা

৳ 220.00

লেখক
প্রকাশক
আইএসবিএন
(ISBN)
978-984-94359-1-4
ভাষা বাংলা
পৃষ্ঠার সংখ্যা ১১২
সংস্কার 2nd Reprint, October 2022
দেশ বাংলাদেশ

মানবজীবন নিতান্ত নিরস ও নিরানন্দ নয়। বিনোদন ও আনন্দ জীবনের একটি অপরিহার্য অংশ। মানুষ বিভিন্নভাবে বিনোদন উপভোগ করে- যার কিছু স্বভাবজাত, সরল ও নিষ্কলুষ; আর কিছু বিকৃত, রুচিহীন ও অমার্জিত। ইসলাম মানবস্বভাবের সাথে সংগতিশীল ও পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান। বলা হয়ে থাকে- ইসলাম ফিতরাতের দ্বীন। সুতরাং বিনোদন ও আনন্দ উপভোগের ক্ষেত্রেও ইসলামের নির্দেশনা থাকবে- এটাই স্বাভাবিক। শিল্প, সাহিত্য, গান, খেলাধুলা ইত্যাদি বিষয়ে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি তুলনামূলক কম আলোচিত বিষয়। সময়ের পরিক্রমায় সতর্কতার নামে ক্রমেই কঠিন হয়ে উঠেছে এ বিষয়ক আলাপের ভঙ্গি। ইমামুল ওসাতিয়্যাহ উসতায ইউসুফ আল কারযাভী এ বিষয়ে কলম ধরে সময়ের প্রয়োজন পূরণ করেছেন। তিনি কুরআন-সুন্নাহর নির্যাস, পূর্ববর্তী আলিমদের আমল ও মন্তব্য উদ্ধৃত করে এ বিষয়ের একটি সামগ্রিক ধারণা উপস্থাপন করেছেন। বিষয়টি ফিকহি; সুতরাং অন্যান্য ফিকহি বিষয়ের মতোই এ বিষয়েও বেশ কিছু বিতর্ক ও মতভিন্নতা আছে। পাশাপাশি আছে দীর্ঘ সময়ের ধূলির আস্তরণ। সুতরাং উসতায কারযাভীর আলোচনার প্রতিটি বর্ণে একমত হতে হবে এমন আবশ্যকতা নেই এবং তা বাস্তবও নয়। যথাযথ তথ্য-উপাথ্যের ভিত্তিতে দ্বিমত করার সুযোগ অবশ্যই খোলা। তবে উসতাযের এ বইটি শিল্পকলা ও বিনোদনকে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আলাপের বদ্ধ দোর খুলে দেবে।

শায়খ প্রফেসর ড. ইউসুফ আবদুল্লাহ আল কারযাভি (১৯২৬-) মিশরীয় বংশোদ্ভূত একজন প্রভাবশালী আধুনিক ইসলামি তাত্ত্বিক ও আইনজ্ঞ। তিনি মুসলিম ধর্মতত্ত্বিকদের অভিজাত সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন অব মুসলিম স্কলার্সে (International Union of Muslim scholars)-এর সাবেক চেয়ারম্যান। জন্ম ১৯২৬ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর। মিসরের উত্তর নীলনদের তীরবর্তী সাফাত তোরাব গ্রামে। দুই বছর বয়সে বাবা ইন্তিকাল করলে চাচা তার লালন-পালন করেন। দশ বছর বয়সে তিনি সম্পূর্ণ কোরআন হিফজ করেন। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পড়াশোনা করেন আল-আজহার কারিকুলামে। প্রাচীন ইসলামী বিদ্যাপীঠ আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উসুলুদ দ্বীন অনুষদ থেকে অনার্স, আরবি ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা এবং পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। মিসরের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অধীন ‘Institute of Imams’ এর পরিদর্শক হিসেবে কর্মজীবনে পদার্পণ করেন। কিছুদিন তিনি আওকাফ মন্ত্রণালয়ের ‘Board of Religious Affairs’ এ কর্মরত ছিলেন। ১৯৭৭ সালে তিনি কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘শরীয়াহ এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদের প্রতিষ্ঠাকালীন ডীন নিযুক্ত হন। ১৯৯০ পর্যন্ত তিনি এখানে কর্মরত থাকেন এবং একই বছর তাঁর নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘সীরাত ও সুন্নাহ গবেষণা কেন্দ্র’। ১৯৯০-৯১ সালে আলজেরিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের Scientific Council এর চেয়ারম্যান হিসেবে কাজ করেন। ১৯৯২ সালে কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সীরাত ও সুন্নাহ গবেষণা কেন্দ্রের ডিরেক্টর হিসেবে পুনরায় কাতার ফিরে আসেন। তিনি জর্ডানের রয়্যাল অ্যাকাডেমি ফর ইসলামিক কালচারাল অ্যান্ড রিচার্জ (Royal academy for Islamic culture and research), ইসলামি সম্মেলন সংস্থা (OIC), রাবেতা আল-আলম আল-ইসলামি এবং ইসলামিক স্টাডিজ সেন্টার, অক্সফোর্ড এর সম্মানিত সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ১৪১১ হিজরিতে ইসলামী অর্থনীতিতে অবদান রাখায় ব্যাংক ফয়সল পুরষ্কার লাভ করেন। ইসলামি শিক্ষায় অবদানের জন্য ১৪১৩ হিজরিতে মুসলিম বিশ্বের নোবেল খ্যাত কিং ফয়সাল অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন । ১৯৯৭ সালে ব্রুনাই সরকার তাকে ‘হাসান বাকলি’ পুরষ্কারে ভূষিত করে।


বই সম্পর্কে কোন জিজ্ঞাসা বা মতামত থাকলে আমাদেরকে জানান
শেয়ার করুন

লেখকের অন্য বইসমূহ