“দ্য অ্যালকেমিস্ট” বইয়ের ফ্ল্যাপে লিখা
যাদুর একটি বই যা স্বপ্নে দেখায় এবং যে গুপ্তধনের খোজে আমরা সর্বত্র খুঁজে ফিরেছি সেই গুপ্তধন পেলাম আমাদের ধারপ্রান্তে। ভাগ্য ফেরাতে হলে তােমাকে লক্ষণ দেখার জন্য সজাগ থাকতে হবে। ঈশ্বর প্রত্যেকের জন্য ভিন্ন ভিন্ন পথ নির্দিষ্ট করে রেখেছেন এবং সেই পথের লক্ষণ দেখিয়ে চলেছেন। “চোখ খােলা রাখলেই ঠিক পথ খুঁজে পাবে।” কিশাের কোনাে কিছু বলার আগেই বৃদ্ধ ভদ্রলােক ও সে যেখানে বসেছিল সেখানে কোথা থেকে যেন একটা প্রজাপতি এসে উড়তে লাগল। দৃশ্যটা দেখে পিতামহের বলা কথাগুলাে মনে পড়ে গেল কিশােরের। তিনি বলতেন, “প্রজাপতি মানে শুভ লক্ষণ। ঝি ঝি পােকা, টিকটিকি, চার-পাতা বিশিষ্ট গাছের ডাল এরা সকলেই শুভ ঘটনার পূর্ববার্তা বহন করে আনে।” এই কিশাের স্পেন দেশের বাসিন্দা। সান্টিয়াগাে তার নাম। সারা পৃথিবীটাকে ঘুরে দেখার স্বপ্ন দেখে সে। যখনই কোনাে ভবিষ্যৎদ্রষ্টা তাকে বলেছে যে পিড়ামিডের কাছে গুপ্তধন তার জন্য অপেক্ষা করছে তখনই সে সাপের খােলস ছাড়ার মতাে বর্তমান জীবন পরিত্যাগ করে ঝুঁকিপূর্ণ জীবনে প্রবেশ করবে বলে মনস্থির করেছে। কিশােরের এই দুঃসাহসিক অভিযান ও তার সর্বাত্মক রূপান্তর এই উপন্যাসের বিষয়বস্তু । উপন্যাসের চরিত্রগুলাে হল কয়েকজন বয়স্ক ব্যক্তি, রাজ্য, সৈনিক, মরুবাসী এবং একজন আলকেমিষ্ট কিশােরকে স্বপ্নের খোজে এগিয়ে যাবার প্রেরণা দেন এবং খোজ থেকে বিরত থাকলে যে হতাশা পরবর্তীকালে আসে তা বুঝিয়ে বলেন। কিশােরের জীবনে ভাগ্য ও উচ্ছাশা মিলে মিশে একাকার হয়ে যায় এবং সে তার সামর্থ্যকে বাস্তবে রূপ দিতে চায়।