সোহাগ পারভেজের গল্পে জীবনের অতি তুচ্ছ এবং ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ঘটনাগুলোর ডিটেইল বর্ণনা ছায়াছবির মত চোখের সামনে ভেসে ওঠে। পাঠককে তিনি স্বভাবসিদ্ধ মুন্সিয়ানায় তার স্টোরিলাইনের সমান্তরালে কী এক যাদুমন্ত্রের বলে সহযাত্রী করে এগিয়ে নিয়ে যান। সাফদারপুর জংশন গল্পটি আমার পড়া তার প্রথম কোন লেখা যেটি পড়ামাত্রই আমি তার গুণমুগ্ধ পাঠক হয়ে যাই। এই গল্পের প্রোটাগনিস্ট রাজিয়া যখন ১৫ বছর পর বিদেশ ফেরৎ স্বামী সালামতকে রাতের শয্যায় প্রশ্ন করে, “আমার শরীল এই পনেরো বছর ধরে তুমার জন্যি পুষে থুয়ে শুকোয়ে গেল, তুমি কি আমার জন্যি শরীর পুষে থুয়িলে?”- তখন আমার কাছে মনে হয় এই উক্তিটি সমগ্র বাংলা সাহিত্যেই একটি স্থায়ী কৌটেবল উক্তি হয়ে হয়ে থাকবে।
বিপ্লব নন্দী
সাহিত্য সম্ভারে ‘ফাটল নদীর রক্ত’ নতুন সংযোজন। বইয়ের প্রতিটি গল্প চিরপরিচিত চারপাশের কথা বলে যায়। বইয়ের সাতটি গল্প পড়তে পড়তে চরিত্রগুলোর হাত ধরে পাঠক হেঁটে যাবে অতীতের সংগ্রামী কঠিন সময় থেকে বর্তমানের বাঁকে বাঁকে, নিশ্চিত কথা বলবে জীবন্ত চরিত্রগুলোর সাথে। গল্পকার সোহাগ পারভেজের প্রথম গল্পগ্রন্থটি পাঠকের চোখের সামনে সাতটি সাবলীল গল্প তুলে ধরেছে। পাশাপাশি এই গ্রন্থ নিশ্চিতভাবেই সাহিত্যে যোগ হবে একটি সম্ভাবনা হিসেবে।
অনীক ধর