১৬ বছর বয়সে ক্লাশে ছাত্রদের সম্মুখে কথা বলার জন্য দাঁড়ালাম। কিন্তু শরীরে কম্পন শুরু হলো। তা দেখে একজন হেসে দিল। শিক্ষক আমার দিকে তাকালেন। অতঃপর…!!
এর আট বছর পর একটি স্যাটেলাইট চ্যানেলের লাইভ প্রোগ্রাম চলাকালে জনৈক ব্যক্তি টেলিযোগাযেগে কঠিন একটি প্রশ্ন করে বসল। সঞ্চালক মাথা তুলে আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, উত্তর দিন…!
কোন এক মসজিদে বক্তব্যপ্রদানকালে জনৈক শ্রোতা দাঁড়িয়ে চিৎকার করে বলল…!!
একবার ঈদের খুতবা দিচ্ছিলাম। হঠাৎ একজন বৃদ্ধ লোক আমার দিকে এগিয়ে আসলেন। ওদিকে লোকজন তাকিয়ে ছিল…!
একদিন একটি চ্যানেলের প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছিলাম। পথিমধ্যে আমার মোবাইলে একজন এই ম্যাসেজ পাঠায়- আমি জানি আজকে আপনি সরাসরি লাইভ প্রোগ্রামে থাকবেন। আপনাকে আজ প্রশ্ন করে লাঞ্ছিত করে ছাড়বো।’ তারপর যখন স্টুডিওতে প্রবেশ করলাম…!
এরকম বৈচিত্র্যময় অভিজ্ঞতা, ঘটনাপ্রবাহ ও সমস্যায় আমার ২৫ বছরের জীবন সমৃদ্ধ, যা আমি বক্তৃতা-আলোচনা, ইংরেজি ভাষা শিক্ষা ও দাওয়াতি ময়দানে সাধারণ লোকজনের সাথে সংস্পর্শ, বিখ্যাত দায়ীদের সাথে উঠাবসা ও বিভিন্ন রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহে কাটিয়েছি।
এই গ্রন্থে দাওয়াতপদ্ধতি, উপস্থাপনাবিদ্যা, আকর্ষণীয় বাকশিল্প ও আত্মউন্নয়নের এমন সব কলা-কৌশল ও দক্ষতার বিবরণ একত্র করা হয়েছে যা আমার ২৫ বছরের (একচতুর্থ শতাব্দী) অভিজ্ঞতার সারনির্যাস। কয়েক দশক ধরে আমার উপস্থাপিত ও পরিচালিত বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কোর্সের (দাওরা) সারাংশ। এতে আমি নিজের সবটুকু স্মৃতিশক্তি নিংড়িয়েছি এবং এর সাথে এমন সব গুরুত্বপূর্ণ জ্ঞান-তথ্য সংমিশ্রণ করেছি যা দিয়ে একজন উদীয়মান দায়ী (ও সৃজনশীল আলোচক-বক্তা) নিজেকে বিনির্মাণ করতে পারবেন। যিনি চান তার বক্তৃতাশক্তি ও আলোচনাদক্ষতা উন্নত হোক, মুখের ভাষা আকর্ষণীয় হোক- তিনি এ গ্রন্থ থেকে উপকৃত হতে পারবেন।
-ড. মুহাম্মাদ ইবনে আবদুর রহমান আরিফী