ইতিহাসের সংজ্ঞা নির্মাণে ঐতিহাসিকদের কম গলদঘর্ম হতে হয়নি। তৈরি হয়েছে ইতিহাস সম্পর্কীত নানা দৃষ্টিভঙ্গিও। কেউ বলেছেন রাজ-রাজড়াদের কালানুক্রমিক ঘটনাবলির পাঠ-ই কেবল ইতিহাস নয়। কেউ ইতিহাসকে দেখেছেন মানুষের সামাজিক-সাংস্কৃতিক অগ্রগতির পাঠ হিসেবে। কেউ-কেউ ইতিহাসের উপাদান হিসেবে অন্ত্যজ-অতি সাধারণ মানুষের কর্মকা-কেই প্রধান হিসেবে গণ্য করেছেন, করতে চেয়েছেন। তবে দৃষ্টিভঙ্গি যেটাই হোক, সাধারণ কি অসাধারণ; মূলত মানুষকে ঘিরেই ইতিহাস। আমরা এই বইয়ে রাজনীতিবিদ, দক্ষ প্রশাসক, মন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদের বর্নাঢ্য জীবনের ক্ষুদ্র অথচ তাৎপর্যময় একটি সময়ের পাঠানুসন্ধান করতে চেয়েছি। পত্র-পত্রিকা অবলম্বনে তাঁর মন্ত্রিত্বকালিন পাঁচ বছরের ঘটনাক্রম পাঁচটি খ-ে প্রকাশের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই দফায় সেই উদ্যোগের চতুর্থ খ- আপনাদের হাতে তুলে দেওয়া গেল। ২০০৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৩ সালের ডিসেম্বর কালপর্বটি বাংলাদেশের জাতীয় ইতিহাসের এক তাৎপর্যম-িত অধ্যায়। এ কারণেই মূলত কাজটি করতে আমরা আগ্রহ দেখিয়েছি। এই বইটি মূলত সেই অধ্যায়ের শেষ পর্বের ওপর তৈরি চতুর্থ খ-। আইন মন্ত্রণালয় তথা ব্যারিস্টার শফিক আহমেদসূত্রে ২০১২ সালে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অবস্থা কেমন ছিল, সে বিষয়ে জানতে বইটি বিশেষভাবে সহায়ক হবে বলে আমাদের বিশ্বাস। উল্লিখিত সময়ে আইনমন্ত্রী হিসেবে ব্যারিস্টার শফিক আহমেদের কার্যক্রম বাংলাদেশের পত্রপত্রিকায় যেভাবে প্রতিফলিত হয়েছে গুরুত্ব বিচারে সেগুলোর একটি অংশ এখানে তুলে ধরা হলো। পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত সংশ্লিষ্ট সংবাদগুলো জড়ো করে সেগুলো থেকে অধিকতর বস্তুনিষ্ঠ ও প্রয়োজনীয় সংবাদসমূহ সন্নিবেশিত হয়েছে বইটিতে। চলমান রাজনৈতিক ইতিহাস বিষয়ে আগ্রহী ব্যক্তি ও গবেষকরা এই বই থেকে কিছুটা হলেও রসদ আহরণে সক্ষম হবেন বলে আমরা মনে করছি।