এককালের কিংবদন্তি ধনুর্ধর তেতসুয়াকে এখন আর তীর-ধনুক হাতে দেখা যায় না! বহুবছর ধরে লোকচক্ষুর অন্তরালে বাস করেন নির্জনে! একদিন এক কৌতূহলী বালক অসংখ্য প্রশ্ন নিয়ে তার সামনে হাজির হয়। সেইসব প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তেতসুয়া ব্যাখ্যা করেন ধনুকের পথ; বুঝিয়ে দেন জীবনের সাথে তীর-ধনুকের অদ্ভুত সাদৃশ্য। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে খ্যাতিমান লেখক পাওলো কোয়েলহো গল্পের সুতো গেঁথে পাঠককে পরিচয় করিয়ে দেন নতুন জীবনদর্শনের সাথে, ভিত্তিপ্রস্তর নির্মাণ করেন স্বতন্ত্র এক জীবনবোধের। সাধারণ দৃষ্টিতে পৃথিবীর বা জীবনেতে যেই রূপ অধরা থেকে যায়, তাকেই লেখক উন্মোচন করেন কলমের নিখুঁত আঁচড়ে। এবার তেতসুয়া আর শিক্ষানবিশ বালকের গল্পের মোড়কে পাওলো কোয়েলহো বলেছেন, কর্ম আর আত্মার মাঝে সম্পর্ক না থাকলে জীবনে পূর্ণতা আসে না। প্রত্যাখ্যান কিংবা ব্যর্থতার ভয়ে বেঁচে থাকা যেন মৃত্যুর শামিল। বাঁচার মতো বাঁচতে হলে ঝুঁকি নিতে হবে, বুক বাঁধতে হবে অসীম সাহস নিয়ে। চলার পথে যে অপ্রত্যাশিত বাধা আসবে, তাকে আলিঙ্গন করতে হবে দৃঢ়চিত্তে। পরিশ্রম, উদ্দেশ্য নির্ধারণ, ক্ষুরধার চিন্তাশক্তি, ব্যর্থতাকে মেনে নিতে শেখা─জয়ী হওয়ার এইতো মূলমন্ত্র! জীবনকে নতুনভাবে চিনতে চান? ধনুর্ধরের সাথে ধনুকের পথ পাড়ি দিতে আপনি প্রস্তুত তো?