আইনস্টাইন বসু সম্পর্কে বলেছেন— `জগদীশচন্দ্র যেসব অমূল্য তথ্য পৃথিবীকে উপহার দিয়েছেন তাঁর যেকোনোটির জন্য বিজয়স্তম্ভ স্থাপন করা উচিত।’ স্যার নেভিল মট তাঁর সম্পর্কে উল্লেখ করে বলেন— ‘জগদীশচন্দ্র বসু তাঁর সময় অপেক্ষা ৬০ বছর এগিয়ে ছিলেন।’ ড. দ্বিজেন শর্মা বলেন— “আমার ধারণায় বিজ্ঞান বিষয়ে বাংলার অন্যতম শ্রেষ্ঠ ও জনপ্রিয় গ্রন্থ তাঁর এই বই ‘অব্যক্ত’।” `যদিও বেতারের আবিষ্কারক হিসেবে বিশ্বে স্বীকৃতি লাভ করেছিলেন মার্কনি, কারণ জগদীশচন্দ্র বসু এটার আবিষ্কারকে নিজের নামে পেটেন্ট করেননি। এ কারণেই এই আবিষ্কারের জন্য তাঁর দাবি স্বীকৃত হয়নি’—ড. দ্বিজেন শর্মা। পারসন্স ম্যাগাজিন লিখেছিল— `বিদেশি আক্রমণে ও অন্তর্দ্বন্দ্বে বহুবছর ধরে ভারতে জ্ঞানের অগ্রগতি ব্যাহত হয়ে চলেছিল… প্রবল বাধা-বিপত্তির মধ্যে গবেষণা চালিয়ে একজন ভারতীয় অধ্যাপক আধুনিক বিজ্ঞানের জগতেও বিশেষ উল্লেখযোগ্য কাজের নজির রেখেছেন। বিদ্যুৎরশ্মি বিষয়ে তাঁর গবেষণাপত্র ব্রিটিশ অ্যাসোসিয়েশনে পঠিত হবার সময় তা ইউরোপীয় জ্ঞানী-গুণীমহলে প্রবল আলোড়নের সৃষ্টি করেছে। তাঁর ধৈর্য ও অসাধারণ শক্তির প্রশংসা করতেই হয়Ñঅন্তত যখন ভাবি যে তিনি মাত্র ১৮ মাসের মধ্যে বিদ্যুতের মতো অত্যন্ত দুরূহ বিভাগের ছয়টি উল্লেখযোগ্য গবেষণা শেষ করেছেন।’ ‘স্পেক্টেটর’ পত্রিকায় লেখা হয়েছিল— ‘একজন খাঁটি বাঙালি লন্ডনে সমাগত, চমৎকৃত ইউরোপীয় বিজ্ঞানীমণ্ডলীর সামনে দাঁড়িয়ে আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের অত্যন্ত দুরূহ বিষয়ে বক্তৃতা দিচ্ছেনÑএ দৃশ্য অভিনব।’ লর্ড র্যালে বলেছেন— ‘এমন নির্ভুল পরীক্ষা এর আগে কখনও দেখিনি-এ যেন মায়াজাল।’