সামাজিক মানুষের রাজনৈতিক ও ব্যক্তিক বিবর্তনের প্রভাবক কথাসাহিত্যিকের পর্যবেক্ষণের কেন্দ্রভূমি ও পরিধির মধ্যে সদাজাগ্রত থাকে। মানুষ কী জানে— কেন এবং কীভাবে সময়, প্রেক্ষাপট ও প্রাকৃতিক বাস্তবতা তার অবস্থা ও অবস্থানকে নিয়ন্ত্রণ করে? নূরুননবী শান্তর গল্পের পেছনে এই প্রশ্নের অভিঘাত প্রচ্ছন্ন আছে। কেবল বিষয় ও আখ্যানই নয়, তার গল্পের ভাষাভঙ্গিও বিশেষভাবে পাঠ্য। এসবের ভেতরে ইতিহাস, পুরাণ ও মানুষের ব্যক্তিগত জীবনের সমসাময়িক যন্ত্রণার আঁচড় থেকে উদ্ভূত আপেক্ষিক সত্য ও কল্পনার খেলা আমাদের কখনো তৃপ্ত করে, কখনো হতাশ, কখনোবা ক্ষুব্ধ, কিংবা কখনো উসকে দেয় অমীমাংসিত দ্বান্দ্বিক চিন্তা। এই গল্পগুলোর ভেতর দিয়ে আমরা দেখতে পাব বাংলাদেশের প্রকৃতি-নির্ভর জনগোষ্ঠীর ঝুঁকি ও স্বপ্ন, ব্যক্তিমানুষের দরিদ্র ও মধ্যবিত্তীয় মানসের টানাপোড়েন, প্রেম, অস্থিরতা, অসহিষ্ণু আধিপত্য কিংবা ধারণার দাসত্ব, এমনকি চিরায়ত অধিকারবোধ। অথবা প্রশ্ন উঠতে পারে, মানুষ ও সমাজ কি আদৌ গুরুত্বপূর্ণ কিছু এই মহাকালে?