প্রথমে কয়েক বছর আগে প্রকাশিত কিছু লেখা নিয়ে বইটি লিখতে শুরু করছিলেন। পরে নতুন করে বইটি ঢেলে সাজাই। করোনাকালে বই লিখতে পারবো কিনা সন্দেহ ছিল। আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে শেষ করেছি। কম্পিউটারে যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা দেয়ায় বেশ বিপাকে পড়েছিলাম। বাইরে যাওয়া সম্ভব নয়। আবার কাউকে বাসায় ডেকে আনাও সম্ভব ছিল না। সব দিক অন্ধকার। ভেবেছিলাম এবার আর বই লেখা হবে না। তারপরও থেমে থেমে বইটি শেষ করেছি। যেসব লেখা যোগ করেছি সেগুলোর মধ্যে উলে¬খযোগ্য হলো উহান থেকে করোনার উৎপত্তি, ২০২০ সালে লাদাখে চীন-ভারত সীমান্ত সংঘর্ষ, ফ্রান্সে বিশ্বনবীর (সা.) ব্যঙচিত্র অঙ্কন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইসরাইল প্রীতি, যুক্তরাষ্ট্রের নয়া প্রেসিডেন্ট বাইডেনের কাছে প্রত্যাশা, ফ্রান্সে বিশ্বনবীর (সা.) ব্যঙচিত্র অঙ্কন এবং ইরানি বিজ্ঞানীদের ধারাবাহিক মৃত্যু। বিষয়বস্তুগুলো চলমান হওয়ায় আমাকে ঘটনার বিবরণীতে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ক্রিয়াপদে বর্তমান রূপ ব্যবহার করতে হয়েছে। এতে আগামী দিনের পাঠকদের কিছুটা অসুবিধায় পড়তে হবে। এ বাস্তব সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে ওঠার আপ্রাণ চেষ্টা করেও পুরোপুরি সফল হইনি। ঘটনা কখনো এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকে না। আজকের ঘটনাই আগামী দিনের ইতিহাস। এদিক থেকে বিচার করলে আমার বইটি মহাকালের ইতিহাসের একটি ক্ষুদ্র কণিকা বলে বিবেচিত হতে পারে। আলোচ্য বইটি যেকোনো অনুসন্ধিৎসু ব্যক্তির কাছে পাঠযোগ্য হবে বলে আমি বিশ্বাস করি। আমি এটাও বিশ্বাস করি যে, শিক্ষার্থী ও সংবাদপত্রের সঙ্গে সংশি-ষ্টদের জন্য এ বইটি হবে খুবই উপকারী। আমাদের চারপাশের পৃথিবীতে কত ঘটনাই না ঘটছে! আমরা সেগুলোর কতটুকু বা জানি? কাউকে জ্ঞান দেয়ার ক্ষমতা আমার নেই। তবু সংবাদপত্রের একজন নগণ্য কর্মী হিসেবে আমি চেষ্টা করেছি যাতে আমাদের সময়ের এবং অনাগত দিনের সন্তানরা আমাদের পৃথিবীর ভাঙ্গাগড়া সম্পর্কে জানতে পারে। এ উপলব্ধি থেকেই বইটি লেখার প্রেরণা অনুভব করেছি। বিষয়বস্তু অনুযায়ী বইটির নাম দিয়েছি ‘সমকালীন বিশ্ব রাজনীতি।’ পাঠক মহলে বইটি সমাদৃত হলে আমার শ্রম ও উদ্দেশ্য সফল হয়েছে বলে মনে করবো।