“আয়না ঘর” বইটির ভূমিকা থেকে নেয়াঃ
মন কি দেখা যায়? ছোঁয়া যায়?
– না।
কিন্তু মনকে ইগনাের করাও সম্ভব না। মানুষের মনের মতাে বিচিত্র আর কিছু নেই ত্রিভুবনে।
মনের উপরে পুরাপুরি নিয়ন্ত্রণ কখনাে আনা সম্ভব না। মনের সব কাজের এবং সিদ্ধান্তে ব্যাখাও হয় না। মনের বেখেয়ালিপনা নিয়ে লেখা আয়নাঘর। চারটা গল্প আছে বইটিতে।
‘আয়না ঘরে’
আমরা এক সাইকোপ্যাথের গল্প পড়ব। যেখানে একজন এসিড ভিক্টিম পরিবার কীভাবে ধ্বংস হয়ে যায় সে গল্প লিখেছেন লেখক। গল্পের ভেতর দিয়ে লেখক মনের অসুখের খোজ দিয়ে গেছেন। মনের স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন হতে হবে আমাদেরকে। নাহলে ঘটে যেতে পারে ভয়াবহ পরিণতি।
‘কিউপিড’
গল্পে আমরা প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী তপতী চৌধুরীর খেয়ালি মনের পরিচয় পাব। বিখ্যাত হবার পরেও মানুষ ভুলতে পারে না। শৈশবের ভয়াবহ কোনাে ঘটনা। এর প্রভাব থেকে যায় সাবকনশাস মনে। সেই মন কী কী করিয়ে নিতে পারে তা পড়ব কিউপিডে।
‘যত্ন অযত্নের ভালােবাসা’
এটাকে একটা মিষ্টি প্রেমের গল্প বলা যায়। কিন্তু এখানেও মন ছাড় দেয় না তার খেয়ালিপনা দেখাতে। প্রেমেই তাে মন সবচেয়ে বেশি দেখায় তার ক্যারিশমা।
‘ডার্ক ওয়েব’
গল্পে তুখােড় মেধাবী রায়ানার অন্ধকার জগতে চলার জার্নিটা জানবে পাঠক।