ছোটবেলায় রাতে মায়ের পাশে শুয়ে শুয়ে গল্প শুনতাম। মায়ের গল্প বলার ঢং ছিল অসাধারন। চোখের সামনে জীবন্ত ধরা দিতো তেপান্তরের মাঠ, এস্রা মুল্লুক ছাড়িয়ে দোস্রা মুল্লুক, রাক্ষসের কুলার মত কান আর মুলার মতো দাঁত, সাইকুরির দুঃখ, ব্যাঙ্গমা-ব্যাঙ্গমি গাছের পাতাট ক্যারিশমা, রাজপুত্রের মায়া হরিণের পেছনে ছোটা। আরও কতো কি! আমার মা বই পোকা মানুষ। সাহিত্যের একনিষ্ঠ পাঠক। তার পড়া বইগুলো আমি ছোটবেলা থেকেই পড়া শুরু করেছিলাম। এভাবেই সাহিত্যের প্রতি হয়তো আমার একটা টান তৈরী হয়েছে। আর এও বলা যায় যে, আমার ভেতরে সাহিত্যের বীজ বপন করে দিয়েছেন আমার মা। অন্যদিকে আমার সপ্লভাষী বাবার উৎসাহ এখনও আমার সাথে সাথে। প্রথমে কবিতা দিয়েই শুরু করেছিলাম। এখনো কবিতার সাথে আছি। পাশাপাশি চলছে কথাশিল্পের চর্চা। শীঘ্রই কাব্যগ্রন্থ আর উপন্যাসও আলোর মুখ দেখবে, ইনশাআল্লাহ। অনেক অপেক্ষার ফসল গল্পগ্রন্থ ‘গন্ধম’ আজ আপনার হাতে। এমন কি অনেকর হাতে। আপনারা পাশে থাকুন ঠিক এমনি করে। জানেন তো ভালোবাসাই লেখর প্রাণ। ইমরান সিরাজ